প্রতীকী ছবি।
অর্থনীতির পালে কিছুটা হাওয়া ফেরার ফলে চাহিদা বৃদ্ধি এবং কর ফাঁকি আটকাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ। মূলত এই দুয়ের কাঁধে ভর করে টানা ছ’মাস ১ লক্ষ কোটি টাকার উপরে থাকল জিএসটি সংগ্রহ। শনিবার অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে, ডিসেম্বরে ১.২৯ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি জিএসটি সংগ্রহ হয়েছে। যা এক বছর আগের তুলনায় ১৩% বেশি। গত বছরের ডিসেম্বরে ১.১৫ লক্ষ কোটি টাকা সংগ্রহ হয়েছিল। পাশাপাশি, ২০১৯ সালের তুলনায় কর আদায় বেড়েছে ২৬%। যখন করোনার ঢেউ আছড়ে পড়েনি। তবে গত নভেম্বরের তুলনায় গত মাসে ওই কর আদায়ের অঙ্ক কিছুটা হলেও কমেছে (১.৩১ লক্ষ কোটি টাকা)।
এ দিন কেন্দ্র বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, জিএসটি সংগ্রহ হয়েছে ১,২৯,৭৮০ কোটি টাকা। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় জিএসটি ২২,৫৭৮ কোটি, রাজ্য জিএসটি ২৮,৬৫৮ কোটি, সংযুক্ত জিএসটি ৬৯,১৫৫ কোটি টাকা। সেস বাবদ ৯৩৮৯ কোটি টাকা সংগ্রহ হয়েছে। জিএসটি সংগ্রহ বেড়েছে ত্রৈমাসিকের গড় হিসাবেও। এপ্রিল-জুনে মাসিক জিএসটি সংগ্রহের গড় ছিল ১.১০ লক্ষ কোটি এবং জুলাই-সেপ্টেম্বরে ১.১৫ লক্ষ কোটি। উৎসবের মরসুমে অক্টোবর-ডিসেম্বরে তা বেড়ে ১.৩০ লক্ষ কোটি টাকা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রক বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানো এবং কর ফাঁকির বিরুদ্ধে পদক্ষেপের ফলে জিএসটি সংগ্রহ বেড়েছে। বিশেষত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ভুয়ো বিলের বিরুদ্ধে। তা ছাড়াও করের হার বদল সংক্রান্ত যে সমস্ত পদক্ষেপ জিএসটি পরিষদ করেছে, তা-ও কর সংগ্রহ বাড়াতে সাহায্য করেছে।’’ জিএসটি সংগ্রহের ধারাবাহিক বৃদ্ধি আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে বলে আশা কেন্দ্রের।