পিএফ নীতিতে বদলের ভাবনা।
পেট্রল-ডিজেল থেকে রান্নার গ্যাস, খাদ্য কিংবা বস্ত্র সবেরই দাম বেড়ে চলেছে। সংসার চালানোই দায় হয়ে উঠেছে অনেক মধ্যবিত্তের। সেটা নজরে রেখেই এ বার চাকরিজীবীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিএফ) সংক্রান্ত নিয়ম বদলের ভাবনা কেন্দ্রের। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক এ নিয়ে আলাপ আলোচনা শুরু করে দিয়েছে। এখন ১৫ হাজার টাকা বেতন হলেই পিএফ বাবদ টাকা কাটার নিয়ম। নতুন ভাবনায় এই মাপকাঠিতে বদল আসতে পারে। এখন যেমন মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) যেমন ক্রয়ক্ষমতা সূচক (কনসিউমার প্রাইস ইনডেক্স) অনুযায়ী বাড়ে তেমন ভাবে আগামী দিনে পিএফ কাটার বেতন সীমাও বদলাতে পারে। জানা গিয়েছে ইতিমধ্যেই শ্রমমন্ত্রক সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে।
কত টাকা বেতন হলে চাকরিজীবীরা পিএফ জমা করতে পারে তা অতীতে মাত্র আট বার বদলেছে দেশে। ১৯৫২ সালে এই মাত্রা ছিল ৩০০ টাকা। এর পরে বাড়তে বাড়তে ২০০১ সালে হয় সাড়ে ছ’হাজার টাকা। কেন্দ্রে মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পরে ২০১৪ সালে বেড়ে হয় ১৫ হাজার টাকা।
বর্তমান নিয়মে এক জন চাকরিজীবীর মূল (বেসিক) বেতনের ১২ শতাংশ পিএফ বাবদ কাটা হয়। সেই টাকার ৮.৩৩ শতাংশ জমা পড়ে পেনশন অ্যাকাউন্টে। তবে সম্প্রতি পিএফ-এর উপরে সুদের হার কমিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে সুদ ছিল ৮.৫ শতাংশ। সেটা কমিয়ে ৮.১ শতাংশ করা হয়েছে।