এ বছর ১৮ জানুয়ারির হিসাবে রাজকোষে এসেছে তার ৪৮%। প্রতীকী ছবি।
গত ক’বছরে বিলগ্নিকরণের লক্ষ্য ছুঁতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়েছে কেন্দ্র। এই অর্থবর্ষেও সেই ধারা বজায় থাকতে পারে বলে ইঙ্গিত দিল আর্থিক সমীক্ষা। জানাল, গত বাজেটে ৬৫,০০০ কোটি টাকা বিলগ্নির লক্ষ্য নেওয়া হলেও, এ বছর ১৮ জানুয়ারির হিসাবে রাজকোষে এসেছে তার ৪৮%। সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতে মূলত পরের বছরে লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে আগামী অর্থবর্ষের জন্যও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিলগ্নির ক্ষেত্রে ধীরে চলো নীতি নিতে পারে মোদী সরকার।
আর্থিক সমীক্ষা বলছে, ২০১৪-১৫ সাল থেকে ২০২২-২৩ পর্যন্ত বিলগ্নিকরণের হাত ধরে ৪.০৭ লক্ষ কোটি টাকা এসেছে। এর মধ্যে ৩.০২ লক্ষ কোটি এসেছে বিভিন্ন সংস্থায় কেন্দ্রের অংশীদারি বেচে। আর ৬৯,৪১২ কোটি ১০টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কৌশলগত বিলগ্নির মাধ্যমে।
তবে পরিসংখ্যান বলছে, ২০২১ সালে এয়ার ইন্ডিয়ার পরে বিলগ্নিতে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পায়নি কেন্দ্র। বাজারে উৎসাহ না-থাকায় ভারত পেট্রোলিয়াম বিক্রি থেকে পিছোতে হয়েছে। দু’টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক ও একটি রাষ্ট্রায়ত্ত সাধারণ বিমা সংস্থা বেচার পরিকল্পনা থাকলেও, তা এগোয়নি। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, ফলে যে সব সংস্থার বেসরকারিকরণ ঘোষণা হয়েছে, পরের অর্থবর্ষে শুধু সেগুলির বিক্রির প্রক্রিয়াই চালানো হতে পারে।
তার উপরে করোনার অনিশ্চয়তা, ভূ-রাজনৈতিক দোলাচল বিলগ্নিতে প্রভাব ফেলছে। বিসিসিআই-এর আর্থিক বিষয়ক কমিটির চেয়ারপার্সন অজিতাভ রায় চৌধুরীর মতে, ‘‘এ বার করোনা পরবর্তী অবস্থা বিচার করে কেন্দ্রকে ধীরে চলো নীতি নিতে হবে। তাড়াহুড়ো করলে গোটা প্রক্রিয়া ধাক্কা খেতে পারে।’’ যদিও কেন্দ্রের দাবি, বিলগ্নিকরণ চালিয়ে যাবে তারা। যার মাধ্যমে সরকারি ঋণ ও শিল্পের পুঁজির খরচ কমানো, দেশের রেটিং টেনে তোলা যাবে। গতি পাবে অর্থনীতি।