Life Certificate

ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট জমায় জোর, প্রচার শুরু কেন্দ্রের

সাধারণত, ব্যাঙ্ক-ডাকঘরের যে শাখা থেকে পেনশন নেন, সেখানে গিয়ে প্রাপকদের লাইফ সার্টিফিকেট দিতে হয়। তিনি চলাফেরায় অক্ষম হলে বণ্টনকারী সংস্থার প্রতিনিধি বাড়ি এসে তা নিয়ে যান।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৪ ০৬:৩৮
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

পেনশনপ্রাপক বেঁচে আছেন কি না, তা নিশ্চিত করতে প্রতি বছরই অক্টোবর-নভেম্বরে তাঁদের জমা দিতে হয় লাইফ সার্টিফিকেট। কেন্দ্র চায়, ডিজিটাল পদ্ধতিতে তা জমা দেওয়া বাড়াতে। সেই লক্ষ্যে এ বার ফের প্রচার চালাচ্ছে সরকার। এর আগে দু’টি পর্যায়ে তা চালানো হয়েছে। তৃতীয় দফায় প্রচার শুরু হয়েছে ১ নভেম্বর। চলবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। বিশেষত অতিপ্রবীণ (৮০ বছরের বেশি বয়সি) পেনশনপ্রাপকদের মধ্যে ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট জমার প্রচলন বাড়ানো এবং চলতি বছরে সামগ্রিক ভাবে ৫০ লক্ষ প্রাপককে এই ব্যবস্থায় টেনে আনাই কেন্দ্রের উদ্দেশ্য।

Advertisement

সাধারণত, ব্যাঙ্ক-ডাকঘরের যে শাখা থেকে পেনশন নেন, সেখানে গিয়ে প্রাপকদের লাইফ সার্টিফিকেট দিতে হয়। তিনি চলাফেরায় অক্ষম হলে বণ্টনকারী সংস্থার প্রতিনিধি বাড়ি এসে তা নিয়ে যান। এই দুই পদ্ধতির পাশাপাশি চালু রয়েছে ডিজিটাল ব্যবস্থায় সার্টিফিকেট জমার নিয়ম। এতে পেনশনার বাড়িতে বসে নিজেই তা দিতে পারেন। কেন্দ্র চায় সমস্ত পেনশনপ্রাপকই যাতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে লাইফ সার্টিফিকেটই জমা দেন, তার ব্যবস্থা করতে। তাই পেনশন ও পেনশনার কল্যাণ বিভাগ তৃতীয় দফার প্রচারে শামিল করেছে পেনশন বণ্টনকারী ১৯টি ব্যাঙ্ক, ৭৮৫টি জেলা ডাকঘর, ৫৭টি পেনশনার কল্যাণ সংগঠন এবং কেন্দ্রের প্রাক্তন সেনা কল্যাণ বিভাগকে। এ ছাড়া বৈদ্যুতিন ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক এবং আধার কর্তৃপক্ষ ইউআইডিএআই প্রচারে যোগ দিয়েছে। তথ্য বলছে, তৃতীয় দফায় ১৫০টি শহরে ৮০০ অঞ্চলে প্রচার চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই দু’লক্ষেরও বেশি প্রাপক ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, জীবনপ্রমাণ পোর্টালের মাধ্যমে ডিজিটাল ব্যবস্থায় দু’ভাবে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়া যায়। প্রথমত, আধারের মাধ্যমে মুখের ছবি খতিয়ে দেখে (ফেস অথিন্টিকেশন) এবং দ্বিতীয়ত, আঙুলের ছাপ ব্যবহার করে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে। এর মধ্যে মুখের ছবি খতিয়ে দেখে সার্টিফিকেট জমার উপরে বেশি জোর দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। তা কী ভাবে জমা দিতে হয়, প্রচার অভিযানে সেই পদ্ধতির প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বিভিন্ন শিবির স্থাপন করে। এ ব্যাপারে কারিগরি সাহায্য দেবে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক এবং ইউআইডিএআই। পাশাপাশি, প্রচার চালানো হবে দূরদর্শন, আকাশবাণী এবং কেন্দ্রের জনসংযোগ দফতরের মারফত। ব্যবহার করা হবে শর্ট ফিল্ম, এসএমএস, এক্সের মতো মাধ্যমও।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement