—প্রতীকী চিত্র।
ফ্ল্যাট-বাড়ি বিক্রি থেকে মুনাফা হিসাবের সময় মূল্যবৃদ্ধি ধর্তব্যের মধ্যে আনা না হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমজনতা লাভবান হবে, দাবি অর্থ মন্ত্রকের। যুক্তি, সম্পত্তির দাম সাধারণত যে হারে বাড়ে, তাতে তা বেচায় লাভের উপরে করের দিক থেকে সুরাহাই মিলবে।
তৃতীয় মোদী সরকারের প্রথম বাজেটে শেয়ার সমেত সমস্ত স্থাবর-অস্থাবর সম্পদে দীর্ঘমেয়াদি মূলধনী লাভের উপরে করের হার ১২.৫% করে দেওয়া হয়েছে। বাড়ি-ফ্ল্যাটের মতো সম্পত্তিতে এতদিন তা ছিল বেশি, ২০%। তবে এতদিন মূল্যবৃদ্ধি বাদ দিয়ে মুনাফা হিসাব করে (ইন্ডেক্সেশন) তার পরে কর বসত। সেই ‘ইন্ডেক্সেশন’-এর সুবিধা এ বার তুলে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ গোটা লাভের টাকায় গুনতে হবে কর। এই নীতি নেওয়া হয়েছে সোনার ক্ষেত্রেও। আর এতেই সম্পত্তি বা সোনার কেনাবেচায় বেশি কর মেটাতে হবে বলে অভিযোগ উঠেছে। অনেকের ধারণা, বাড়ি-ফ্ল্যাটের থেকে লগ্নি সরবে শেয়ারে। যদিও মোদী সরকারের সম্পত্তি বিক্রির মুনাফায় অভিন্ন কর বসানোর নতুন নীতিতে শেয়ার বেচার ক্ষেত্রে লাভকরের হার বেড়েছে।
অর্থ মন্ত্রকের শীর্ষ সূত্রের যুক্তি, কর বাবদ আয় বাড়াতে এই নীতি নেওয়া হয়নি। করের সরলীকরণই লক্ষ্য। মন্ত্রক বলছে, সাধারণত আবাসনে মূল্যবৃদ্ধির তুলনায় অনেক বেশি বা ১২-১৬ শতাংশ হারে মুনাফা মেলে। মূল্যবৃদ্ধির ‘ইনডেক্সেশন’-এর হার ৪-৫%। ফলে করদাতাদের সাশ্রয়ই হবে। একমাত্র যদি সম্পত্তি বেচে ৯-১১ শতাংশের থেকেও কম মুনাফা হয়, তবে নতুন করে ক্ষতি হবে। কিন্তু আবাসনে এত কম মুনাফা অবাস্তব।
শেয়ারে দীর্ঘমেয়াদি মূলধনী লাভে কর বৃদ্ধি নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। মন্ত্রকের যুক্তি, এই করদাতাদের সিংহভাগেরই বছরে আয় ৫০ লক্ষ টাকার বেশি। ফলে আদতে ধনীদের উপরে কর চেপেছে। আমজনতার জন্য বরং আর্থিক সম্পদ থেকে মূলধনী আয়ের ক্ষেত্রে ছাড়ের অঙ্ক ১ লক্ষ থেকে বাড়িয়ে ১.২৫ লক্ষ টাকা করা হয়েছে।