বিদেশ থেকে সোনা কেনা কমাতে চাইছে কেন্দ্র। ফাইল ছবি
আমদানি খরচ এবং বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েই চলেছে। তাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে বিদেশ থেকে সোনা কেনা কমাতে চাইছে কেন্দ্র। কিন্তু ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের (ডব্লিউজিসি) সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে, এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে দেশে ধাতুটির আমদানি ৪৩% বেড়েছে। যে প্রবণতা বাকি বিশ্বের ঠিক উল্টো। সেখানে ওই একই সময়ে ৮% চাহিদা কমেছে হলুদ ধাতুটির। তবে জুলাইয়ে আমদানি বেশ খানিকটা কমেছে। আগের বছরের এই মাসের তুলনায় ৪৩.৬%। সরকারি মহলের দাবি, আমদানি শুল্ক বৃদ্ধি কাজে দিয়েছে। জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকেও এই ধারা বজায় থাকবে।
বর্তমান আবস্থায় আমদানি বৃদ্ধির প্রবণতা উদ্বেগজনক, মত সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের। বিশেষত জুলাইয়ে যেহেতু দেশের অশোধিত তেল আমদানি বেড়েছে ৭০ শতাংশেরও বেশি। কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যানই জানিয়েছে, সামগ্রিক রফতানি বৃদ্ধি যেখানে মাত্র ২.১৪%, সেখানে আমদানি বেড়েছে প্রায় ৪৪%। ফল হিসাবে বাণিজ্য ঘাটতি রেকর্ড ৩০০০ কোটি ডলার ছুঁয়েছে। বিশেষজ্ঞদের চিন্তা, বর্ধিত ঘাটতি ডলারের নিরিখে টাকার দামকে আরও টেনে নামিয়ে অর্থনীতির সঙ্কট বাড়াতে পারে।
স্বর্ণ শিল্পের ব্যাখ্যা, অতিমারির শুরুতে সোনার মতো সুরক্ষিত লগ্নির চাহিদা বাড়ায় দাম চড়ে। তবে গত বছর শেয়ার বাজার অতি চাঙ্গা হওয়ার পরে বিক্রি কিছুটা কমে। এ বছর শেয়ারের লগ্নি ফের টালমাটাল হয়ে পড়ায় বেড়েছে সোনার চাহিদা। তা কিছুটা ছাঁটাই করতেই ১ জুলাই থেকে ধাতুটির মূল আমদানি শুল্ক ১০.৭৫% থেকে বাড়িয়ে ১৫% করেছে কেন্দ্র। যাতে আমদানিতে রাশ টানা যায়। এই পদক্ষেপে কাজ কিছু হয় কি না, বোঝা যাবে চলতি ত্রৈমাসিক শেষ হলে।