সহাস্যে: আর্থিক সমীক্ষা পেশ করছেন কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মণ্যন। এপি
বেকারত্বের জ্বলন্ত সমস্যা মেটাতে সেই ছোট-মাঝারি শিল্পেই জোর দিতে চায় কেন্দ্র। তবে ‘বাছাই’ করে।
বৃহস্পতিবার আর্থিক সমীক্ষা নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মণ্যনের দাবি, অনন্ত কাল ছোটই থেকে যাওয়া সংস্থায় সরকারি সুযোগ-সুবিধা জুগিয়েও লাভ হয় না অনেক সময়। বরং বেশি কাজের সুযোগ তৈরি করে সেই সব সংস্থা, যেগুলি বড় হয়ে উঠতে পারে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। যারা তা পারে না, তাদের নিট চাকরির সুযোগ তৈরির রেকর্ড আহামরি নয়। তাই কর্মসংস্থানের কথা মাথায় রেখে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্তই ছোট শিল্পকে দেওয়া সুবিধা কোনও সংস্থার জন্য বহাল রাখার পক্ষপাতী তিনি।
উদাহরণ হিসেবে সুব্রহ্মণ্যন বলেন, একটি মার্কিন সংস্থা গোড়াপত্তনের সময় যত কর্মী নেয়, ৪০ বছর পরে গড়ে তার ৭ গুণ নিয়োগ করে। মেক্সিকোয় তা ২ গুণ। সেখানে ভারতে ওই সময় পরে কর্মী বাড়ে গড়ে ৪০% মতো। অর্থাৎ, কর্মী সংখ্যার বিচারে তখনও তার ছোট-মাঝারি সংস্থা হিসেবে নানা সুবিধা জোটে। কিন্তু নিট কর্মসংস্থানের হিসেব তাতে তেমন ভাল হয় না। তাই একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সুবিধাগুলি দেওয়ার পরে তা ফেরানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন তিনি। দাবি করেছেন, রাজস্থানে এই নীতি পরীক্ষামূলক ভাবে প্রয়োগে ফল মিলেছে হাতেনাতে।
বেকারত্বের সমস্যা মেটাতে ডেটা-কে ‘পাবলিক গুড’ করারও পক্ষপাতী তিনি। যুক্তি, সকলে ডেটা ব্যবহারের সুযোগ পেলে (তা কেনার রেস্ত্ যদি না-ও থাকে) রাতবিরেতে হাসপাতাল খোঁজার মতো সহজ হবে চাকরি খোঁজার কাজও। জোর দিয়েছেন শ্রম সংস্কারে।
সমীক্ষা বলছে, ২০৪১ সাল পর্যন্ত দেশে নাগাড়ে বাড়বে কাজপ্রার্থীর সংখ্যা। ২০২১ থেকে ২০৩১ সালের মধ্যেই তা বাড়বে প্রায় ৯৬ কোটি। শুধু এ দিনের দাওয়াইয়ে কাজের বন্দোবস্ত করা যাবে তাঁদের কত জনের জন্য? উত্তর দেবে সময়ই।