ফাইল ছবি
দেশের আর্থিক বৃদ্ধির চাকায় গতি বাড়াতে বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু রাজ্যগুলির থেকে বকেয়া টাকা না পেয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং বণ্টন সংস্থাগুলি বিপাকে পড়েছে। সেই অঙ্ক পৌঁছে গিয়েছে ২.৫ লক্ষ কোটি টাকায়। এমনই দাবি করে তা দ্রুত মিটিয়ে দেওয়ার জন্য রাজ্যগুলিকে আবেদন জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার ‘উজ্জ্বল ভারত উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সম্মেলনের অন্তিম পর্বে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বক্তৃতায় এনটিপিসির কিছু অপ্রচলিত বিদ্যুৎ প্রকল্পের শিলান্যাস করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী জানান, আগামী ২৫ বছরে ভারতের উন্নয়নে শক্তি ও বিদ্যুৎ ক্ষেত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে। ব্যবসার পরিবেশ এবং জীবনযাপনের উন্নতির জন্যও তা প্রয়োজনীয়। অথচ ঠিক এই সময়ে আর্থিক ভাবে চাপে পড়েছে বিদ্যুৎ সংস্থাগুলি। মোদী বলেন, ‘‘এটা রাজনীতির বিষয় নয়। রাষ্ট্রনীতি এবং দেশ গঠনের বিষয়।’’ তাঁর বক্তৃতার সময়ে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং সরকারি অফিসারেরাও উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী হিসাব দিয়ে দাবি করেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন সংস্থাগুলি বিভিন্ন রাজ্যের কাছে অন্তত ১ লক্ষ কোটি টাকা পায়। সরকারি দফতর এবং স্থানীয় প্রশাসনগুলির কাছে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাগুলির বকেয়া ৬০,০০০ কোটি টাকার বেশি। বিভিন্ন সময়ে রাজ্যগুলি যে ভর্তুকির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সেই বাবদ বকেয়াও ৭৫,০০০ কোটি টাকা পার করেছে। বণ্টন সংস্থাগুলি তা আদায় করতে পারেনি। সেই সমস্ত অঙ্ক দ্রুত মিটিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান মোদী।
এ দিন এনটিপিসির বেশ কয়েকটি অপ্রচলিত বিদ্যুৎ প্রকল্পের শিলান্যাস করেছেন প্রধানমন্ত্রী। যেগুলির মোট প্রস্তাবিত লগ্নির অঙ্ক ৫২০০ কোটি টাকা। বিদ্যুৎ বণ্টন পরিকাঠামোকে শক্তিশালী করতে পাঁচ বছর মেয়াদি ৩ লক্ষ কোটি টাকার একটি প্রকল্পেরও উদ্বোধন করেছেন মোদী।