প্রতীকী ছবি।
রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া (এআই) বিক্রির জন্য আগ্রহী ক্রেতাদের ইচ্ছাপত্র জমার সময়সীমা ফের বাড়াতে পারে কেন্দ্র। সোমবার সরকারি সূত্রের খবর, এ বার তা হতে পারে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তবে ক্রেতা পেতে ঋণ ও লোকসানে ধুঁকতে থাকা এআইয়ের ক্ষেত্রে যতটাই নরম সরকার, ততটাই কড়া আর এক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিপিসিএল নিয়ে। এ দিনই কেন্দ্রীয় লগ্নি ও সরকারি সম্পত্তি পরিচালনা দফতরের (ডিআইপিএএম) সচিব জানান, বিপিসিএল বিলগ্নিকরণের পথে সম্ভাব্য ক্রেতার ইচ্ছাপত্র জমার সময় আর হয়তো বাড়ানো হবে না। ফলে তা এখনকার মতো ১৬ নভেম্বরই থাকবে। অতিমারির ধাক্কায় আগেই সেই সময় চার বার পিছিয়েছে। এই দফায় এআই কিনতে আগ্রহীর ইচ্ছাপত্র জমার শেষ দিন ৩০ অক্টোবর। জল্পনা সত্যি হলে পঞ্চমবার পিছোবে সেই দিন।
এআইয়ের ক্রেতার খোঁজে অবশ্য সম্পত্তি মূল্যায়নের নিয়ম পরিবর্তন করে তা আরও সরল করা হতে পারে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে। সে ক্ষেত্রে বাজারে থাকা সংস্থার মোট শেয়ার মূল্যের (ইকুইটি মার্কেট ক্যাপিটালাইজ়েশন) বদলে এআইয়ের সামগ্রিক মূল্য (এন্টারপ্রাইজ় ভ্যালু) যাচাই করার সুযোগ দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। সেই অনুযায়ী পুরো সংস্থা কিনতে আগ্রহীদের থেকে ইচ্ছাপত্র চাওয়া হতে পারে। সম্ভাব্য ক্রেতার দরের ৮৫% দেনা মেটাতে খরচ হবে।
এআই বেচতে প্রথম বার মোদী সরকারের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল ২০১৮ সালে। চলতি বছরের গোড়ায় ফের এআইয়ে নিজেদের ১০০% অংশীদারি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। জানায় বিক্রি করা হবে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের পুরো ও এয়ার ইন্ডিয়া স্যাটস এয়ারপোর্ট সার্ভিসের ৫০% অংশীদারিও। কিন্তু এখনও কেউ আগ্রহ দেখায়নি। ফের কিছু নিয়ম শিথিল করে সেই চেষ্টাই বহাল রাখার ইঙ্গিত মিলেছে চলতি অর্থবর্ষে ২.১০ লক্ষ কোটি টাকা বিলগ্নিকরণের লক্ষ্যপূরণে মরিয়া কেন্দ্রের তরফে। যে লক্ষ্য পূরণে বিপিসিএলের ক্ষেত্রে যদিও সরকারের হাতে থাকা পুরো ৫২.৯৮% বেচতে দেরি করতে নারাজ তারা। ডিআইপিএএম সচিব তুহিনকান্ত পান্ডের দাবি, অতিমারির আবহে লগ্নিকারীরা সময় চেয়েছিল। তাই এর আগে আগ্রহপত্র জমার সময় পিছনো হয়েছে। অন্তত বিপিসিএলের জন্য দিন আর পিছনো হবে না হয়তো।