প্রতীকী ছবি।
লকডাউনে জোর ধাক্কা খেয়েছে উৎপাদন ক্ষেত্র। তাকে ফের ঘুরিয়ে দাঁড় করানোর লক্ষ্যে আরও অন্তত পাঁচটি শিল্প ক্ষেত্রকে উৎসাহ ভাতা দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে বলে অর্থ মন্ত্রক সূত্রে ইঙ্গিত মিলেছে। এর আগেই চিকিৎসার যন্ত্রপাতি, ওষুধ ও মোবাইল তৈরির কারখানাকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার প্রকল্প ঘোষণা করেছিল মোদী সরকার।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়ালও জানিয়েছেন, বিভিন্ন রকম উৎসাহ প্রকল্পের পাশাপাশি কেন্দ্র এমন ২০টি ক্ষেত্রকে চিহ্নিত করেছে, যেখানে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য সরবরাহকারী হয়ে উঠতে পারে ভারত।
লকডাউনের ধাক্কা থেকে ছোট-মাঝারি শিল্পকে সুরাহা দিতে ইতিমধ্যেই সরকারি গ্যারান্টিযুক্ত ৩ লক্ষ কোটি টাকার জরুরি ঋণ প্রকল্প চালু করেছে কেন্দ্র। অর্থ মন্ত্রক সূত্রের ইঙ্গিত, আরও বেশি সংস্থাকে এই সুবিধা দিতে প্রকল্পের শর্ত হিসেবে বছরে ব্যবসার অঙ্ক ১০০ কোটি টাকার বদলে ১৫০ কোটি টাকা করা হতে পারে। বাড়ানো হতে পারে প্রকল্পের সময়সীমাও। তবে এত কিছুর পরেও রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে দিয়ে টাকা ছাপিয়ে বাজারে ঢালার পরিকল্পনা এখনও নেই বলে দাবি করেছে অর্থ মন্ত্রক।
এখন প্রশ্ন হল, অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার দাওয়াই দিতে এত টাকা আসবে কোথা থেকে?
কেন্দ্রীয় আর্থিক বিষয়ক সচিব তরুণ বজাজ এ দিন মেনে নিয়েছেন, বাজেটের কোনও হিসেবই মিলবে না। তবে বিভিন্ন সংস্থা যে জিডিপি সঙ্কোচনের যে পূর্বাভাস দিয়েছে, অবস্থা ততটা খারাপও হবে না। তাঁর বক্তব্য, এ বছর ধাক্কা খেলেও আগামী বছর দ্রুত গতিতে ভারতীয় অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে। তবে তাঁর শর্ত, ‘‘যদি না করোনা খুব বড় রকমের ক্ষতি করে এবং মাঝপথে আমাদের রণকৌশল বদলাতে হয়।’’ একই সঙ্গে, পরিকাঠামোয় খরচ বাড়াতে কেন্দ্রকে যে আরও ধার করতে হবে, তা-ও মেনে নিয়েছেন তিনি। এ দিনই বিলগ্নিকরণ ও সম্পদ বিক্রির পাঁচ বছরের রূপরেখা তৈরির জন্য নীতি আয়োগের কাছে আর্জি জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রক।
বজাজের বক্তব্য, ‘‘রাজস্ব আয় বাড়ছে। তেলে শুল্ক বসিয়ে কিছু বাড়তি আয় হয়েছে। এ বছর তাতে কিছুটা লাভ হবে।’’ অর্থনীতিবিদেরা অবশ্য মনে করছেন, সরকার এখনই স্বীকার না-করলেও অর্থবর্ষের দ্বিতীয়ার্ধে টাকা ছাপানোর পথে হাঁটতে হতে পারে।