ফাইল চিত্র।
চলতি বছরেই বিমায় প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নির (এফডিআই) সর্বোচ্চ সীমা বাড়িয়ে ৭৪% করেছে মোদী সরকার। সূত্রের খবর, এ বার রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থা জীবন বিমা নিগমেও (এলআইসি) বিদেশি লগ্নি টানার কথা ভাবছে তারা। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে কেন্দ্রের অর্থিক পরিষেবা বিভাগ এবং লগ্নি ও সরকারি সম্পত্তি পরিচালনা দফতরের মধ্যে। লক্ষ্য, এলআইসি যখন বাজারে প্রথম বার শেয়ার ছেড়ে টাকা তুলবে (আইপিও), তখন বিদেশি লগ্নিকারীদের সামনেও অংশীদারি কেনার সুযোগ খুলে দেওয়া।
এলআইসি-র বিলগ্নিকরণ নিয়ে ইতিমধ্যেই দেশ জুড়ে প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েছে সরকার। এ ভাবে বিমা সংস্থাটিতে রাখা সাধারণ মানুষের বিপুল পুঁজিকে ঝুঁকির মুখে ফেলা হচ্ছে বলে তোপ দেগেছে বিরোধীরা। এই অবস্থায় বিদেশি সংস্থার হাতে অংশীদারি তুলে দেওয়ার পথ তৈরি হলে সেই ঝুঁকি আরও বাড়বে কি না, প্রশ্ন উঠছে। দেশে ২৫টি জীবন বিমা সংস্থা আছে। এলআইসি-ই শুধু রাষ্ট্রায়ত্ত। যার একার দখলে জীবন বিমা বাজারের প্রায় ৪০%।
তবে বিমা শিল্পে সর্বোচ্চ ৭৪% বিদেশি লগ্নির বিধি এলআইসি-তে প্রযোজ্য নয়। তারা পরিচালিত হয় আলাদা আইন মোতাবেক। ফলে এই সংস্থায় প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নি টানতে হলে সেই আইন বদলাতে হবে। এসবিআই লাইফের প্রাক্তন এমডি অতনু সেন বলেন, ‘‘বিদেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহের উদ্যোগকে স্বাগত। তবে এলআইসি-র সিংহভাগ শেয়ার ও সংস্থা পরিচালনার রাশ কেন্দ্রের হাতেই থাকা জরুরি। বহু সাধারণ মানুষের লগ্নি আছে সংস্থায়। সরকারের ভরসাতেই তাঁরা আস্থা রাখেন এলআইসি-তে। সেই আস্থা অটুট রাখার দায়িত্ব সরকারের।’’
সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, রাজকোষ ঘাটতি কমাতে কেন্দ্র চলতি অর্থবর্ষে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণ মারফত ১.৭৫ লক্ষ কোটি টাকা তুলতে চায়। এলআইসি-র মতো সংস্থায় প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নি টেনে সেই লক্ষ্য পূরণ আরও নিশ্চিত করাই উদ্দেশ্য।