প্রতীকী ছবি।
বেশ কয়েকটি পণ্যের পাশাপাশি খেলনার মান নিয়েও গত দু’বছর ধরে কড়াকড়ি শুরু করেছে কেন্দ্র। এ বার বিষয়টি নিয়ে কড়া পদক্ষেপ করল সরকার। নিম্ন মান, ব্যুরো অব ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডসের (বিআইএস) প্রতীক না থাকা, ভুয়ো লাইসেন্স ব্যবহার-সহ বিভিন্ন কারণে গত এক মাসে দেশের বিভিন্ন বিপণি থেকে মোট ১৮,৬০০ খেলনা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে কলকাতা-সহ কয়েকটি বড় শহরের বিমানবন্দর এবং শপিং মলের দোকানও রয়েছে। আর্চিজ়, হ্যামলেজ়, কোকোকার্ট, কিডস জ়োন-সহ বিভিন্ন প্রথম সারির খেলনা বিপণিও রয়েছে এই তালিকায়। অন্য দিকে, বৃহস্পতিবার খেলনার মান সংক্রান্ত নির্দেশিকা লঙ্ঘনের অভিযোগে অ্যামাজ়ন, ফ্লিপকার্ট, স্ন্যাপডিলের মতো নেট বাজারকে নোটিস পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় ক্রেতাসুরক্ষা কর্তৃপক্ষ (সিসিপিএ)।
২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে খেলনার মান এবং সুরক্ষাবিধি বাধ্যতামূলক ভাবে মানার ব্যাপারে বিআইএসের নির্দেশিকা কার্যকর করে কেন্দ্র। উদ্যোগী হয় দেশে উন্নত মানের খেলনা তৈরি নিয়েও। এ দিন বিআইএসের ডিরেক্টর জেনারেল প্রমোদকুমার তিওয়ারি বলেন, ‘‘বিআইএস নির্ধারিত মাপকাঠি অমান্য করে খেলনা বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ আসছিল সংশ্লিষ্ট শিল্পের তরফে। তার ভিত্তিতে গত এক মাসে ৪৪টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে ১৮,৬০০ খেলনা বাজেয়াপ্ত করেছি আমরা।’’ তিনি জানান, সেগুলির মধ্যে দেশে তৈরি খেলনার পাশাপাশি আমদানি করা সামগ্রীও রয়েছে। সবচেয়ে বেশি খেলনা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে আমদাবাদের রাজ টয় ওয়ার্ল্ড (৯০০০), মাদুরাইয়ের গিফ্টজ় (৩০৮০), বেঙ্গালুরুর রয়্যাল মার্ট এবং চেন্নাইয়ের কিডস জ়োন (২০০০) থেকে। রয়েছে কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, রাঁচি, নয়ডা বিমানবন্দরও।
তিওয়ারি জানিয়েছেন, বিভিন্ন পর্যায়ে খেলনার দোকানগুলিতে তল্লাশি চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে বড় বিপণি, শপিং মল এবং বিমানবন্দরের দোকানগুলিতে তল্লাশি হয়েছে। এর পরে ছোট-মাঝারি দোকানগুলিতেও অভিযান শুরু হবে। বিআইএসের বিধি না মানলে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা থেকে শুরু করে এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডেরও সংস্থান রয়েছে।
খেলনার মানের দিকে নজর রাখছে সিসিপিএ-ও। এ দিন নেট বাজারগুলিকে নোটিস পাঠানোর কথা জানিয়েছেন দফতরের প্রধান নিধি খারে। সচিব রোহিতকুমার সিংহ জানান, আমদানি করা খেলনার মান খতিয়ে দেখতে দফতর এবং শুল্ক বিভাগের আধিকারিকদের নিয়ে একটি বিশেষ দল গঠন করবেন তাঁরা। বিদেশ থেকে আসা খেলনা পরীক্ষা করে দেখতে দেওয়ার ব্যাপারে নেট বাজার সংস্থাগুলিও সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।