আতঙ্ক: এই ছবি বদলাবে কবে?
শুধু কারখানা বা সরকারি পরীক্ষাগারে দূষণ বিধিতে পাশ করলেই হবে না। বিক্রির আগে রাস্তায় নেমেও পরীক্ষা দিতে হবে নতুন গাড়িকে। কারখানায় তৈরির পরে বাস্তবের মাটিতেও গাড়ির দূষণরোধী ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে ২০২০ থেকে আরও কড়া পরীক্ষা ব্যবস্থা চালু হচ্ছে দেশে।
এখন দু’ভাবে গাড়ির দূষণ ছড়ানোর মাত্রা খতিয়ে দেখা হয়। প্রথমত, কারখানা ও সরকার স্বীকৃত সংস্থার (যেমন: অটোমোটিভ রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া বা এআরএআই, আই-ক্যাট ইত্যাদি) পরীক্ষাগারে গাড়ির দূষণরোধী ব্যবস্থাও খতিয়ে দেখা হয়। একটি মডেলের নমুনা গাড়ি সেই সব পরীক্ষায় পাশ করলে সেটির বাণিজ্যিক উৎপাদনের জন্য সরকারি ছাড়পত্র মেলে। এ ছাড়া কারখানা অথবা ডিলারদের কাছ থেকেও কিছু নমুনা গাড়ি সরকারি পরীক্ষাগারে যাচাই করানো হয়।
কিন্তু রাস্তায় চলার সময়ে ধুলোবালির জন্য দূষণ ছড়ানোর মাত্রার হেরফেরও হতে পারে। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক ও গাড়ি শিল্পের সংগঠন সিয়াম সূত্রের খবর, ‘ভারত স্টেজ ৬’ (বিএস৬) দূষণ বিধি মেনে ২০২০ থেকে পরীক্ষাগারের বাইরেও রাস্তায় বাধ্যতামূলক ভাবে নতুন গাড়ির নমুনা পরীক্ষা করা হবে। এটিকে বলা হয় ‘রিয়েল ড্রাইভিং এমিশন’ (আরডিই) ব্যবস্থা। তবে এ ক্ষেত্রেও সব গাড়ি নয়, নতুন মডেলের কিছু নমুনা গাড়ির ওই পরীক্ষা হবে।
অন্য দিকে, পুরনো গাড়িগুলির দূষণ খতিয়ে দেখতেও ২০২০ থেকে রাস্তায় চলা গাড়ি আচমকা তুলে নিয়ে পরীক্ষা করবে কেন্দ্র। গাড়ির মালিকদের এখন ছ’মাস অন্তর ধোঁয়া থেকে দূষণের সাধারণ পরীক্ষা করাতে হয়। কিন্তু ২০২০ থেকে নতুন পদ্ধতিতে আপাদমস্তক পরীক্ষা হবে।
সিয়ামের সিনিয়র ডিরেক্টর অতনু গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিএস৪ গাড়ি থেকে হওয়া দূষণের ভাগ খুবই কম। তবুও পরিবেশ-বান্ধব নতুন প্রযুক্তির গাড়ি তৈরি করতে দায়বদ্ধ সংস্থাগুলি। বিএস৬ মাপকাঠি মেনে তৈরি তারই পরের ধাপ, যা বিএস৪ চালুর তিন বছরের মধ্যেই শুরু হবে।’’ উল্লেখ্য, বিএস৫ মাপকাঠি এড়িয়ে সরাসরি বিএস৬ বিধি চালু করছে কেন্দ্র।
তবে পুরনো গাড়ির নমুনা সংখ্যায় কম হলেও কী ভাবে সেগুলি রাস্তা থেকে তোলা হবে, গাড়ির মালিকদের তখন কী সমস্যা হতে পারে, সেগুলির সম্ভাব্য সমাধানের উপায়ই বা কি, তার আঁচ পেতে পরীক্ষামূলক ভাবে আগামী বছর থেকে স্বেচ্ছায় এই ব্যবস্থা শুরু করবে সংস্থা। দুই ও তিন চাকার পুরনো গাড়িতেও তা চালু হবে।