জীবন বিমা নিগমের (এলআইসি) প্রথম শেয়ার (আইপিও) থেকে ২০,৫৫৭ কোটি টাকা নিশ্চিত করল কেন্দ্র। সেই সঙ্গে চলতি অর্থবর্ষে বিলগ্নিকরণের লক্ষ্যমাত্রা (৬৫,০০০ কোটি টাকা) পূরণের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। বাজারের অস্থির পরিস্থিতি সত্ত্বেও নথিভুক্তির দিন থেকে শুরু করে মধ্য মেয়াদে এবং দীর্ঘ মেয়াদে লগ্নিকারীরা লাভবান হবেন বলে দাবি করেছে সরকার।
এলআইসির আইপিও-র জন্য গত ৪ মে থেকে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছিল। সোমবার ছিল শেষ দিন। শেয়ার বাজারের সূত্র অনুযায়ী, এ দিন সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ইসুর পরিমাণের ২.৯৫ গুণ আবেদন জমা পড়েছে। যোগ্য প্রাতিষ্ঠানিক ক্রেতারা (কিউআইবি) জমা দিয়েছে ২.৮৩ গুণ আবেদন। অপ্রাতিষ্ঠানিক লগ্নিকারীরা (এনআইআই) ২.৯১, সাধারণ লগ্নিকারীরা ১.৯৯, পলিসিহোল্ডারেরা ৬ এবং এলআইসির কর্মীরা ৪.৪ গুণ আবেদন জমা দিয়েছেন। শেয়ারের মূল্যবন্ধনী ৯০২-৯৪৯ টাকা। সাধারণ লগ্নিকারী ও সংস্থার কর্মীরা শেয়ার প্রতি ৪৫ টাকা এবং পলিসিহোল্ডারেরা ৬০ টাকা করে ছাড় পেয়েছেন। ১৭ মে বাজারে নথিভুক্ত হবে শেয়ারটি। ১২ তারিখ হবে শেয়ার বণ্টন। এই আইপিও-র মাধ্যমে এলআইসিতে নিজেদের ৩.৫% অংশীদারি শেয়ার বাজারে ছাড়ছে সরকার।
লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করলেও শেয়ারটি নিয়ে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির মধ্যে বিশেষ সাড়া পড়েনি। সরকার অবশ্য বিষয়টিকে ‘আত্মনির্ভর ভারতের’ উৎকৃষ্ট উদাহরণ হিসেবে দেখতে চায়। লগ্নি ও সরকারি সম্পদ পরিচালনা দফতরের সচিব তুহিনকান্ত পাণ্ডের বক্তব্য, শুধু বিদেশি লগ্নিকারীদের উপরে নির্ভর না করে দেশীয় লগ্নিকারীদের সাহায্যে মসৃণ ভাবে আইপিওটি বাজারে আসছে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখেই ইসুর মাপ ঠিক করা হয়েছে, যাতে বাজারে বিরূপ প্রভাব না পড়ে। তিনি বলেন, ‘‘এই ইসুর মাধ্যমে শেয়ার বাজারের গভীরতা বাড়বে। সেই সঙ্গে বিপুল সংখ্যক সাধারণ লগ্নিকারী রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার শেয়ারে বিনিয়োগের সুযোগ পেলেন।’’