প্রতীকী চিত্র
ক্রেতা সুরক্ষায় আরও বেশি করে জোর দিতে নেটে পণ্য ও পরিষেবা বিক্রির নিয়মে সংশোধনী আনার প্রস্তাব দিল কেন্দ্র। যার মধ্যে রয়েছে, পণ্য সম্পর্কে ভুল তথ্য দিয়ে তা বিক্রি বা মিস সেলিং বন্ধ করা। প্রযুক্তির সুবিধা নিয়ে জালিয়াতি করে খুব কম এবং নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কোনও পণ্য বিক্রি (ফ্ল্যাশ সেল) হওয়া আটকানো ইত্যাদি। ভারতে ব্যবসা চালাতে এই সমস্ত ই-কমার্স সংস্থাগুলি যাতে শিল্প লগ্নি উন্নয়ন ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য দফতরের কাছে নথিভুক্ত হয়, সেই প্রস্তাবও করা হয়েছে। এই সুপারিশ নিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে মানুষের মত জানতে চেয়েছে কেন্দ্র। তবে সব নিয়ম মেনে যে ফ্ল্যাশ সেল হয়, সেগুলি বন্ধ করা হবে না বলেই আশ্বস্ত করেছে ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রক।
গত বছর জুলাইয়ে প্রথম কনজ়িউমার প্রোটেকশন (ই-কমার্স) রুলস, ২০২০ চালুর বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল। এ বার সেই নিয়মের সংশোধনীতে আমদানি পণ্যের কান্ট্রি অব অরিজিন এবং পণ্য ব্যবহারের শেষ দিন (বেস্ট বিফোর বা ইউজ় বিফোর ডেট) জানানো তো বটেই, সব বিক্রেতাকে সমান ভাবে পণ্য বিক্রির সুযোগ দেওয়ার কথা বলেছে কেন্দ্র। এ জন্য প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে নির্দিষ্ট বিক্রেতা সংস্থাকে সুবিধা পাইয়ে দিতে আনা ফ্ল্যাশ সেল, একটি সংস্থার মুনাফা বাড়াতে করা ক্রস সেল (এক পণ্যের সঙ্গে যুক্ত অন্য পণ্য বিক্রি) ও ভুল তথ্য দিয়ে পণ্য বা পরিষেবা বিক্রি বন্ধে উদ্যোগী হয়েছে তারা।
পাশাপাশি, পণ্য খোঁজার সময়ে (সার্চ রেজ়াল্ট) কারচুপি আটকানো, স্পনসর করা পণ্য সহজে চিহ্নিত করার ব্যবস্থা আনা, ই-কমার্স সংস্থায় চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসার ও রেসিডেন্ট গ্রিভান্স অফিসার নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। পণ্যের ক্রমতালিকা দেওয়ার সময় দেশীয় পণ্যকেও সমান গুরুত্ব দিতে হবে সংস্থাগুলিকে। ক্রেতার কেনা দেওয়া পণ্য বা পরিষেবা পৌঁছতে ব্যর্থ হলে তার দায় বর্তাবে তাদের উপরে।
কেন্দ্রের দাবি, বিভিন্ন মহল থেকে ই-কমার্স সংস্থাগুলির ব্যবসার পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, সেই প্রেক্ষিতেই এই প্রস্তাব। এতে নেটে কেনাকাটায় স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতা বজায় থাকবে বলে তাদের ধারণা।