Castrol India: উৎপাদনে ধাক্কার অভিযোগ ক্যাস্ট্রল ইন্ডিয়ার কারখানায়

ভারতে ব্রিটিশ পেট্রোলিয়ামের পূর্ণ শাখা সংস্থা ক্যাস্ট্রল ইন্ডিয়া। গার্ডেনরিচের কাছে এই কারখানাটি ৮০ বছরের পুরনো।

Advertisement

প্রজ্ঞানন্দ চৌধুরী

শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০২১ ০৭:৪৩
Share:

— ছবি সংগৃহীত

ইউনিয়ন-কর্তৃপক্ষের কাজিয়ায় কলকাতার পাহাড়পুরে ক্যাস্ট্রল ইন্ডিয়ার কারখানায় ক্রমশ অশান্ত হচ্ছে পরিস্থিতি। কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, ‘‘বাইরের একটি ইউনিয়নের কিছু লোক কারখানার গেট আটকে রাখায় প্রতিদিন প্রায় এক ঘণ্টা কাজ বন্ধ থাকছে। দিনে প্রায় ১০% উৎপাদন হারাতে হচ্ছে। তারা হুমকিও দিচ্ছে, কারখানায় ইউনিয়ন গড়তে না-দিলে কাজ বন্ধ করা হবে।’’ অভিযোগের আঙুল তৃণমূল ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের (আইএনটিটিইউসি) দিকে। যদিও এই ইউনিয়নের রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘ট্রেড ইউনিয়ন করা মানুষের স্বীকৃত অধিকার। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ, আন্দোলনের নামে কোনও অবস্থাতেই উৎপাদন বন্ধ করা যাবে না। ফলে কাজ বন্ধ না-করে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের রাস্তা বার করতে হবে।’’

Advertisement

ভারতে ব্রিটিশ পেট্রোলিয়ামের পূর্ণ শাখা সংস্থা ক্যাস্ট্রল ইন্ডিয়া। গার্ডেনরিচের কাছে এই কারখানাটি ৮০ বছরের পুরনো। ইঞ্জিন অয়েল-সহ নানা ল্যুব্রিক্যান্ট তৈরি হয়। স্থায়ী-অস্থায়ী মিলে কর্মী প্রায় ২৫০ জন।

সংস্থা কর্তৃপক্ষের দাবি, ‘‘তৃণমূল ট্রেড ইউনিয়নের কিছু স্থানীয় সমর্থক কারখানায় ইউনিয়ন করার ব্যবস্থা করে দেওয়ার দাবি নিয়ে সম্প্রতি আমাদের সঙ্গে দেখা করেন। কিন্তু তাঁদের বলা হয়, ইউনিয়ন তৈরিতে কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নেই। তার পর থেকেই গেটের সামনে পিকেটিং চলছে। প্রতিদিন এক ঘণ্টা কর্মীদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। ফলে উৎপাদন মার খাচ্ছে।’’

Advertisement

আইএনটিটিইউসি-র প্রশ্ন, সংগঠন করতে দিলে সমস্যা কোথায়? এ নিয়ে স্থানীয় এক কাউন্সিলরের মতামত জানতে ফোন করলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। আর কারখানাটিতে স্বীকৃত ইউনিয়ন আইএনটিইউসি-র রাজ্য সভাপতি কামারুজ্জামান কামার বলছেন, ‘‘সংস্থায় শুধু আমাদেরই ইউনিয়নই রয়েছে। ৩৫ বছর ধরে স্বীকৃত। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সম্পর্কও খুব ভাল। এখন তৃণমূল এখানে ইউনিয়ন করতে চাইছে। কিন্তু কারখানায় তাদের সদস্যই নেই।’’ কামারের দাবি, তাদের লোককে নিয়োগের জন্য কর্তৃপক্ষকে চাপ দিচ্ছে আইএনটিটিইউসি। যা মানতে নারাজ কর্তৃপক্ষ জানান, এমন চললে কারখানা বন্ধ করতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement