Adani Group

আদানি তদন্তে সেবির বিরুদ্ধে মামলা

গত জানুয়ারিতে আমেরিকার শেয়ার বিশ্লেষক সংস্থা হিন্ডেনবার্গ তাদের রিপোর্টে দাবি করেছিল, এক দশকেরও বেশি সময় ধরে কারচুপি করে নিজেদের নথিভুক্ত সংস্থাগুলির শেয়ার দর বাড়িয়েছে আদানি গোষ্ঠী।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:৩৪
Share:

গৌতম আদানি। —ফাইল চিত্র।

হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ করা হয়েছিল, তা নিয়ে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য সেবিকে গত ১৪ অগস্ট পর্যন্ত সময় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু সেই সময়সীমা পার করে ২৫ অগস্ট বাজার নিয়ন্ত্রক আদালতকে জানায়, অভিযোগের ২৪টি দিক নিয়ে তদন্ত চালালেও ২২টির তদন্ত শেষ করা গিয়েছে। কয়েকটি দেশ থেকে তথ্য জোগাড়ের প্রক্রিয়া চলছে। এই দেরির জন্য সেবির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার প্রক্রিয়া শুরুর আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা। আবেদনকারী বিশাল তিওয়ারির অভিযোগ, সময়সীমা বেঁধে দেওয়া সত্ত্বেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে বা রিপোর্ট দাখিল করতে ব্যর্থ হয়েছে সেবি। তদন্তে অনন্তকাল সময় লাগলে প্রমাণ নষ্ট হতে পারে। লগ্নিকারীদের আস্থা ফেরাতেও সেবিকে নির্দেশ দেওয়া জরুরি বলে দাবি তিওয়ারির।

Advertisement

গত জানুয়ারিতে আমেরিকার শেয়ার বিশ্লেষক সংস্থা হিন্ডেনবার্গ তাদের রিপোর্টে দাবি করেছিল, এক দশকেরও বেশি সময় ধরে কারচুপি করে নিজেদের নথিভুক্ত সংস্থাগুলির শেয়ার দর বাড়িয়েছে আদানি গোষ্ঠী। সেবির বিধিকে ফাঁকি দিতে ভুঁইফোঁড় বিদেশি সংস্থার মাধ্যমে নিজেদের সংস্থার শেয়ার কিনিয়েছে তারা। উদ্দেশ্য, অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ হাতে রাখা। এই রিপোর্ট প্রকাশের পরে, আদানিদের সংস্থাগুলির শেয়ার দর বিপুল ভাবে পড়ে। আদানি-কাণ্ড নিয়ে বিরোধী দলগুলি নিয়মিত আক্রমণ করে চলেছে মোদী সরকারকে।

জনস্বার্থ মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, ‘‘হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট প্রকাশের পরে লগ্নিকারীরা কয়েক হাজার কোটি টাকা খুইয়েছেন। এখন প্রশ্ন, এখনকার নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ কি যথেষ্ট দক্ষ, নাকি আরও দক্ষ কাঠামোর নতুন কোনও কর্তৃপক্ষ তৈরি করা উচিত? যাতে ভবিষ্যতে এমন বিপর্যয় আর না ঘটে। সুরক্ষিত থাকে লগ্নিকারীদের পুঁজি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement