প্রতীকী ছবি।
হতেই পারে স্থানীয় ও বিক্ষিপ্ত লকডাউন। কিন্তু কোনও কোনও ক্ষেত্রে তার বিরূপ প্রভাবেই যে অর্থনীতি ধাক্কা খেতে পারে, সে ব্যাপারে আগেই সতর্ক করেছিল শিল্প-বাণিজ্য মহলের একাংশ। এ বার সেই ইঙ্গিত মিলল মূল্যায়ন সংস্থা কেয়ার রেটিংসের সমীক্ষায়। এক মাসের মধ্যে চলতি অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস দু’বার কমাল তারা। সংখ্যার বিচারে তা খুব বেশি না-হলেও সংশ্লিষ্ট মহলের উদ্বেগ, বিধিনিষেধ যে ভাবে বাড়ছে তাতে অদূর ভবিষ্যতেই এই পূর্বাভাস আরও কমবে না তো?
সমীক্ষা রিপোর্টে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পাঁচ রাজ্যের ভোট এবং তীর্থযাত্রা ঘিরে লক্ষ লক্ষ মানুষের জমায়েত হয়েছে। দূরত্ব বিধির তোয়াক্কা করেননি কেউ। করোনা সংক্রমণ হঠাৎই মাথাচাড়া দেওয়ার এটাও অন্যতম সম্ভাব্য কারণ। এরই পাশাপাশি রিফিনিটিভ-ইপসোসের মাসিক সমীক্ষায় স্পষ্ট, করোনার সংক্রমণ নতুন করে মাথা তোলায় ফের ধাক্কা খেয়েছে দেশের শহরাঞ্চলের ক্রেতার আস্থা।
২০২১-২২ অর্থবর্ষে ভারতের বৃদ্ধির পূর্বাভাস ১০.৭%-১০.৯% থেকে কমিয়ে ১০.২% করেছে কেয়ার রেটিংস। জানিয়েছে, বিভিন্ন রাজ্যের লকডাউন আর্থিক কার্যকলাপের সামনে ফের দেওয়াল তুলছে। সংক্রমণ বৃদ্ধির অন্যতম সম্ভাব্য কারণ বিধানসভা নির্বাচন এবং কুম্ভ মেলা। নির্বাচনের পরে ওই পাঁচ রাজ্যে কড়াকড়ি বাড়ার আশঙ্কাতেও সিঁটিয়ে রয়েছে শিল্প-বিক্রেতা-ক্রেতা মহল। এই অবস্থায় পরের দু’সপ্তাহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অন্য দিকে, গত ২৬ মার্চ থেকে ৯ এপ্রিল ১৬-৬৪ বছর বয়সি ৫০০ জনের মধ্যে সমীক্ষা চালিয়েছে রিফিনিটিভ-ইপসোস। দেখা যাচ্ছে, কর্মসংস্থান (০.৬), ব্যক্তিগত লগ্নি (১.৫), বিনিয়োগ (০.৯) এবং অর্থনীতি (০.৮), চার ক্ষেত্রেই আস্থা কমেছে শহুরে ক্রেতাদের। সামগ্রিক ভাবে সূচক কমেছে ১.১ শতাংশ বিন্দু।