প্রতীকী ছবি।
ব্যবসা ধাক্কা খাওয়ায় দেশ জুড়ে ২৮৬ জন গাড়ির ডিলার ঝাঁপ বন্ধ করেছেন। কাজ গিয়েছে প্রায় ৩৫,০০০ মানুষের। ডিলারদের সংগঠন ফেডারেশন অব অটোমোবাইল ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ফাডা) সিইও সহর্ষ দামানির দাবি, বিক্রি কমায় এপ্রিল-জুলাইয়ে চালু ডিলারশিপেও কাজ হারিয়েছেন প্রায় দু’লক্ষ কর্মী। সব মিলিয়ে ২.৩৫ লক্ষ।
শিল্পের দাবি, গত এক বছর ধরে গাড়ির চাহিদা টানা কমছে। তার উপরে কেন্দ্র সম্প্রতি বৈদ্যুতিক গাড়িতে জোর দেওয়ায় পেট্রল ও ডিজেল গাড়ি নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে ধন্দ তৈরি হয়েছে। যার কিছুটা বিরূপ প্রভাব পড়েছে বিক্রিতে। আরও দু’টি কারণে গাড়ি কেনা সাময়িক স্থগিত রেখেছেন ক্রেতারা। প্রথমত, অনেকে ভাবছেন জিএসটি কমলে গাড়ির দাম কমবে। দ্বিতীয়ত, ২০২০ সালের ১ এপ্রিল থেকে শুধুই বিএস-৬ মাপকাঠির গাড়ি তৈরি ও বিক্রি হবে। তার ঠিক আগে সংস্থার ভাঁড়ারে থাকা বিএস-৪ মাপকাঠির গাড়িতে বড় ছাড় মিলতে পারে বলেও মনে করছেন অনেকে। কারণ, ২০১৭ সালের ১ এপ্রিল থেকে বিএস-৪ গাড়ি বিক্রি বাধ্যতামূলক হওয়ার সময়ে বিএস-৩ গাড়িতে বাড়তি ছাড় দিয়েছিল সংস্থাগুলি।
যদিও রাজ্যে ফাডার চেয়ারপার্সন অমিত মানাকতলা ও সহর্ষের মতে, এ বার সংস্থাগুলির ভাঁড়ারে বাড়তি বিএস-৪ গাড়ি মজুত থাকার সম্ভাবনা কম। কারণ, ওই গাড়ি উৎপাদনের সময়সীমা কেন্দ্র তিন বছর আগেই স্পষ্ট করে দেওয়ায় হিসেব কষেই উৎপাদন করেছে সংস্থাগুলি। আগের বার সংস্থাগুলি ততটা সময় পায়নি।