ছবি: সংগৃহীত
বছর শেষেও দেশের গাড়ি বাজারে খুব একটা আশার আলো দেখা গেল না। বৃহত্তম সংস্থা মারুতি সুজুকি বা মহীন্দ্রার বিক্রি সামান্য বেড়েছে। কিন্তু বিক্রি ধাক্কা খেয়েছে টয়োটা কির্লোস্কর, হুন্ডাইয়ের মতো সংস্থাগুলির ব্যবসা।
২০১৮ সালের শেষ থেকেই দেশের গাড়ি বাজারে মন্দার ছায়া। দেশের অর্থনীতির ঝিমুনির জেরে নাগাড়ে কমেছে সব ধরনের গাড়ি বিক্রিই। উৎসবের মরসুমে সামান্য আশার আলো দেখা গেলেও বাজারে গাড়ি কেনার আগ্রহে ভাটার টান পুরোপুরি কাটেনি। এর উপর আগামী এপ্রিল থেকে নতুন দূষণ বিধি ভারত-স্টেজ৬ (বিএস৬) মেনেই নতুন গাড়ি তৈরি হওয়ার কথা। বিএস৪ থেকে বিএস৬ মাপকাঠিতে উত্তরণ নিয়ে নানা সংশয়ের জন্যও গাড়ি কেনায় আগ্রহ কিছুটা কম বলে দাবি এই শিল্পের অনেকেরই।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরের তুলনায় গত ডিসেম্বরের বিক্রির হিসেবের খতিয়ান বুধবার প্রকাশ করেছে বিভিন্ন গাড়ি সংস্থা। মারুতি-সুজুকির তথ্য বলছে, সেই হিসেবে গত মাসে তাদের বিক্রি বেড়েছে ২.৪%। তবে ধাক্কা খেয়েছে ছোট ও কম দামি গাড়ির বিক্রি। যে গাড়ি বাজার দেশে এখনও সর্বাধিক। যদিও তাদের কিছু দামি ও বড় গাড়ির বিক্রি বেড়েছে। গাড়ি বিক্রি মাত্র ১% বেড়েছে মহীন্দ্রার। নিসানের বেড়েছে ৪৯%।
অন্য দিকে, দেশের বাজারে হুন্ডাইয়ের বিক্রি কমেছে ৭.২%। সংস্থার ডিরেক্টর (সেলস) তরুণ গর্গ বলেছেন, ‘‘২০১৯ সাল দেশের গাড়ি শিল্পের পক্ষে একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। সেই প্রতিকূল পরিবেশেও আমরা নতুন গাড়ি বাজারে এনেছি।’’
টয়োটা কির্লোস্করের বিক্রি গত মাসে কমেছে প্রায় ৪৫%। তবে এই শিল্পের মন্দা দশার মধ্যেও গাড়ি কেনার আগ্রহ কিছুটা বাড়ছে বলে দাবি সংস্থাটির কর্তা নবীন সোনির। বিক্রি কমেছে টাটা মোটরস (১২%) ও হোন্ডারও (৩৬%)।
দেশের ঝিমিয়ে থাকা অর্থনীতির কোপ পড়েছে বাণিজ্যিক গাড়ির বিক্রির উপরেও। যাত্রী গাড়ির খুচরো বিক্রি কিছুটা বেড়েছে। বাণিজ্যিক গাড়ির বিক্রি এখনও কম। গত মাসে ভলভো ও আইশারের যৌথ সংস্থা ভিই-র বিক্রি কমেছে ৩%।