প্রতীকী ছবি
লকডাউনের জেরে এপ্রিলে কার্যত শূন্যে ঠেকেছিল বিক্রি। মে মাসে শর্ত বিধি মেনে ধাপে ধাপে কিছু শোরুম চালু হলেও, বিশেষ বদলাল না গাড়ি শিল্পের দুর্দশার ছবি। প্রত্যাশিত ভাবে সেই তলানিতেই থাকল বিক্রি। আশঙ্কা বাড়িয়ে মূল্যায়ন সংস্থা ইক্রা জানাল, চলতি অর্থবর্ষে যাত্রী গাড়ি বিক্রি যতটা কমবে বলে ভাবা হয়েছিল, আদতে তা কমতে পারে তার চেয়েও বেশি, প্রায় ২৫%। এর আগের পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল গাড়ির বিক্রি কমতে পারে (১০%-১২%)।
সোমবার মারুতি-সুজুকি জানিয়েছে, গত মাসে দেশে গাড়ি বিক্রি কমেছে ৮৮.৯৩%। মহীন্দ্রা অ্যান্ড মহীন্দ্রা, হুন্ডাই মোটর এবং হোন্ডা কারসের ক্ষেত্রে তা যথাক্রমে ৭৯%, ৮৪% এবং ৯৭% কমেছে। হোন্ডার কর্তা রাজেশ গোয়েলের মতে, করোনার জেরে এক অভূতপূর্ব অবস্থা তৈরি হয়েছে। আর মে-তে ৭১০টি গাড়ি বিক্রি করা এমজি মোটরের কর্তা রাকেশ সিদানার বক্তব্য, লকডাউনে কিছু ডিলারের শোরুম বন্ধ, যন্ত্রাংশের জোগানে ধাক্কা ও ঋণের কড়া শর্তও বিক্রি কমার অন্যতম কারণ।
তবে এরই মাঝে ট্র্যাক্টর বিক্রি ২% বেড়েছে মহীন্দ্রার। সংস্থার কর্তা হেমন্ত সিক্কার মতে, মরসুমের গোড়াতেই কৃষি ক্ষেত্রে লকডাউন শিথিল হওয়া ট্র্যাক্টরের চাহিদার বাড়াতে সাহায্য করেছে। যদিও অন্যান্য আর্থিক কর্মকাণ্ড সে ভাবে চালু না-হওয়ায় বেহাল দশা কাটেনি বাণিজ্যিক গাড়ির। মে মাসে অশোক লেল্যান্ডের বিক্রি কমেছে প্রায় ৯০%।
এরই মধ্যে আগামী দিনে দু’চাকার গাড়ির বিক্রি বাড়বে বলে আশা সংশ্লিষ্ট মহলের। তবে হিরো মোটকর্পের মোটরসাইকেলের বিক্রি গত মাসে কমেছে ৮২.৫%, স্কুটারের ৮৫%। এই সময়ে দেশে রয়্যাল এনফিল্ডের বিক্রি কমেছে ৬৯%, রফতানি ৬৮%।