গত বছরে দেশে যাত্রিগাড়ির পাইকারি বিক্রি ছিল ৩৮ লক্ষ। প্রতীকী ছবি।
গত বছরের (২০২২) হিসাবে দেশের যাত্রিগাড়ির পাইকারি ব্যবসা সর্বকালীন উচ্চতায় উঠে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম বাজারের স্বীকৃতি পেয়েছে। অক্টোবর-ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকের হিসাব অনুযায়ী, ২০২১ সালের একই সময়ের চেয়ে বেড়েছে গাড়ির বিক্রি, সার্বিক গাড়ির বাজারও। গাড়ি নির্মাতাদের সংগঠন সিয়ামের পরিসংখ্যানে এমন কিছু উল্লেখযোগ্য তথ্য ধরা পড়লেও রয়েছে কিছু মলিন ছবিও। যেখানে ২০২১ সালের ডিসেম্বরের চেয়ে গত মাসে যাত্রিগাড়ির বিক্রি কমেছে। গ্রামাঞ্চলের আর্থিক দুর্বলতার জন্য এখনও গতি আসছে না দু’চাকায়।
সিয়ামের হিসাব, গত বছরে দেশে যাত্রিগাড়ির পাইকারি বিক্রি ছিল ৩৮ লক্ষ। যা সর্বকালীন নজির। বাণিজ্যিক গাড়ির বিক্রি পৌঁছেছিল ৯.৩ লক্ষে। ২০১৮ সালের সর্বোচ্চ ব্যবসার চেয়ে প্রায় ৭২,০০০ কম। তবে এই পরিসংখ্যানের পাশাপাশি সংগঠনের প্রেসিডেন্ট বিনোদ আগরওয়াল মনে করিয়ে দিয়েছেন, এখনও ২০১০ সালের সংখ্যার চেয়ে পিছিয়ে তিন চাকার গাড়ির ব্যবসা। দু’চাকার গাড়ির বিক্রি ২০১৪ সালকেও ছুঁতে পারেনি। অন্যান্য গাড়ির বিক্রির বৃদ্ধির চেয়েও গত বারে দু’চাকার ব্যবসা বৃদ্ধির গতি ছিল কম।
গত বারের উৎসবের মরসুমে গাড়ি বাজারে যে কিছুটা প্রাণের সঞ্চার ঘটেছিল, সে কথা বলেছেন সিয়ামের ডিজি রাজেশ মেননও। তবে তাঁর মত, গ্রামীণ বাজারে দুর্বলতা অব্যাহত। খাদ্যপণ্যের চড়া দর, গাড়ি কেনার সার্বিক খরচ (দাম, বিমার খরচ) বৃদ্ধি সেই বাজারে প্রভাব ফেলছে।
যাত্রিগাড়ির বাজার বাড়লেও শিল্প আগেই জানিয়েছিল, কম দামি ছোট গাড়ির বিক্রি কিন্তু সেই হারে বাড়েনি। বরং ‘স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকল’-এর (এসইউভি) মতো একটু দামি গাড়ির চাহিদা বেশি। গোটা বছর, অক্টোবর-ডিসেম্বর এবং ডিসেম্বরে সিয়ামের পরিসংখ্যানে তা স্পষ্ট। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, যা আদপে অর্থনীতিতে ভারসাম্যের অভাবকেই প্রকট করে।