— ফাইল চিত্র
প্রতিদ্বন্দ্বীরা যখন ৫জি সংযোগের কথা ভাবছে, তখন বিএসএনএল ৪জি-ই চালু করতে না-পারায় গ্রাহকেরা অসন্তুষ্ট। তার উপরে সংস্থা ঠিকাদার নিয়োগের ক্ষেত্রে সময় বেঁধে কাজের নতুন নিয়ম আনলেও, নানা বাধায় তাদের শাখা ক্যালকাটা টেলিফোন্সের (ক্যাল-টেল) আওতাভুক্ত অঞ্চলের সর্বত্র এখনও তা পুরোপুরি চালু হয়নি। তার জেরে মাসের পর মাস ধরে বহু গ্রাহকের ল্যান্ডলাইন, ব্রডব্যান্ড সংযোগ খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। এই অবস্থায় মাথার উপরে বিস্তর অভিযোগ নিয়েই আগামী ১৮ নভেম্বর টুইটারে গ্রাহকদের মুখোমুখি হবেন ক্যাল-টেলের সিজিএম বিশ্বজিৎ পাল।
বিএসএনএলের প্রাক্তন সিএমডি অনুপম শ্রীবাস্তব ও ক্যাল-টেলের প্রাক্তন সিজিএম এস পি ত্রিপাঠী দু’তিন বছর আগে আলাদা করে টুইটার মঞ্চে গ্রাহকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। এ বার ফের সেই পথেই তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানতে চান ক্যাল-টেলের কর্তারা। বিশ্বজিৎবাবুর আশ্বাস, গ্রাহকেরা সমস্যার কথা জানাতে পারবেন। পাশাপাশি তাঁদের কাছে তুলে ধরা হবে সংস্থার কাজকর্মও।
তবে সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, এর আগের টুইটার-সভাগুলিতে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন বহু গ্রাহক। ৪জি পরিষেবা চালু হওয়ার প্রশ্নে ধেয়ে এসেছিল তীব্র অসন্তোষ। এ বার ৪জি-র জন্য যন্ত্রাংশের দরপত্র বাতিল হওয়ার পরে ফের প্রশ্নবাণে বিদ্ধ হতে পারেন বিশ্বজিৎবাবু। সংশয় রয়েছে খারাপ হয়ে পড়ে থাকা সংযোগের ভুক্তভোগী গ্রাহকদের ক্ষোভ নিয়েও।
ক্যাল-টেলের কর্তাদের অবশ্য দাবি, অধিকাংশ জায়গাতেই ঠিকাদার নিয়োগের নতুন ব্যবস্থা চালু হওয়ায় অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। খারাপ হয়ে পড়ে থাকা মোট ল্যান্ডলাইনের সংখ্যা ৬০,০০০ থেকে ৪৩,০০০ হয়েছে। অকেজো ব্রডব্যান্ডের সংখ্যা ৮৭০০ থেকে নেমেছে ৫০০০-এ। গড়ে রোজ মোট ১৫০০টির বেশি লাইন সারানো হচ্ছে। কাজ চলছে রবিবারেও।
অন্য দিকে, বিভিন্ন খাতে খরচ হ্রাস ও মোবাইলের আয় বাড়ায় ২০২০-২১ সালের এপ্রিল-সেপ্টেম্বরে আর্থিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে ক্যাল-টেলের। সংস্থা সূত্রের খবর, গত বারের চেয়ে এ বারে ওই সময়ে ক্ষতি ২৮৫.৫৪ কোটি টাকা থেকে কমে হয়েছে ১০১.৭২ কোটি। গত বছর কর, সুদ ও অন্যান্য দায় মোটানোর আগে ছ’মাসে তাদের লোকসান হয়েছিল ১৯১.৪২ কোটি টাকা। এ বার মুনাফা হয়েছে ১৫.৯০ কোটি। শেষ পর্যন্ত আগামী দিনে সংস্থা কতটা ঘুরে দাঁড়ায়, সেটাই দেখার।