প্রতীকী চিত্র।
প্রায় দু’বছর আগে কার্যত ঢাকঢোল পিটিয়ে বিএসএনএলের পুনরুজ্জীবন পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিল মোদী সরকার। কিন্তু এখনও তার অনেকটাই কার্যকর হয়নি বলে অভিযোগ অল ইউনিয়ন্স অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েশন্স অব বিএসএনএলের (এইউএবি)। এই অবস্থায় ৪জি পরিষেবা চালু, টেলিকম দফতরের (ডট) কাছে বকেয়া প্রায় ৩৯,০০০ কোটি টাকা আদায়, মাস পয়লায় বেতন বণ্টন, উদ্বৃত্ত জমি বেচে রাষ্ট্রয়ত্ত টেলি সংস্থাটির দায় কমানো-সহ নানা দাবিতে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা। এই লক্ষ্যে ২৮ জুলাই দেশ জুড়ে অনশনে বসার আগে আগামিকাল বিক্ষোভ দেখানোর কর্মসূচি নিয়েছে এইউএবি।
বিএসএনএল এবং এমটিএনএল-কে মেশানোর আগে দু’টি সংস্থাতেই স্বেচ্ছাবসর প্রকল্প এনেছিল কেন্দ্র। আশ্বাস মেলে দ্রুত ৪জি পরিষেবা চালুর। এখন দেশে ৫জি চালু নিয়ে জল্পনা চললেও সংস্থার সেই ৪জি চালু নিয়ে ধোঁয়াশা বহালই। তা শুরু হতে যত দেরি হচ্ছে, তত বাজারে ক্রমশ আরও পিছোচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি।
সম্প্রতি বিএসএনএলের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে বৈঠকে বসেছিল এইউএবি। তাদের অভিযোগ,সংস্থার আর্থিক অবস্থা ফের খারাপ হচ্ছে। অথচ দীর্ঘ দিন ধরে ডটের কছে বিপুল টাকা পাওনা। এ দিকে বাজারে দেনা প্রায় ৩০,০০০ কোটি টাকা। এই অবস্থায় দ্রুত ডটের থেকে টাকা আদায় ও উদ্বৃত্ত জমিকে কাজে লাগিয়ে অর্থের সংস্থান করা জরুরি। সেই সঙ্গে ৪জি তো বটেই, ৫জির পথেও হাঁটার কথা ভাবতে হবে। নেটের বাজার ধরতে উন্নত করতে হবে ‘ফাইবার টু দ্য হোম’ পরিষেবা। অনিয়মিত বেতন নিয়েও ক্ষোভ জানিয়েছে এইউএবি। নতুন ঠিকাদার পদ্ধতিতে খারাপ লাইন মেরামতি ও রক্ষণাবেক্ষণে উন্নতি হলেও, তাদের দাবি সেই উদ্যোগ ব্যর্থ।
সূত্রের খবর, বিভিন্ন রাজ্যে স্থানীয় লকডাউনে কর্মীদের অনুপস্থিতিতে গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রগুলি নিয়মিত চালু ছিল না। ফলে অনেকে বিল দিতে না-পারায় আয় কমেছে সংস্থার। আশা, বকেয়া আদায় হলে অবস্থা পাল্টাবে।