হাজিরা বাড়াতে বায়োমেট্রিক

কর্মসংস্কৃতি নিয়ে অভিযোগের প্রেক্ষিতে বছরখানেক আগে ক্যাল-টেলের মূল দফতর টেলিফোন ভবন ও চারটি বড় এক্সচেঞ্জে পরীক্ষামূলক ভাবে বায়োমেট্রিক হাজিরা ব্যবস্থা চালু করা হয়।

Advertisement

দেবপ্রিয় সেনগুপ্ত 

শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০১৯ ০০:৪২
Share:

কাজ শুরু সকাল ১০টায়। বিকেল সাড়ে ৫টায় শেষ। কিন্তু বিএসএনএলের অফিস বা গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রগুলিতে কর্মীদের একাংশের দেরিতে এসে আগে চলে যাওয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বৃহত্তর কলকাতায় সংস্থার শাখা ক্যালকাটা টেলিফোন্সের (ক্যাল-টেল) দফতরে গিয়েও একই কারণে ভুগতে হত গ্রাহকদের। ক্যাল-টেলের বক্তব্য, কর্মসংস্কৃতি ফেরাতে অধিকাংশ জায়গায় বাধ্যতামূলক ভাবে বায়োমেট্রিক হাজিরা পদ্ধতি চালু করে দিয়েছে তারা। তাতে ফলও মিলছে। গতি এসেছে কাজে। তাদের দাবি, এর ফলে কর্মী পিছু দৈনিক কাজের সময় গড়ে প্রায় দু’ঘণ্টা বাড়বে। ক্যাল-টেলের সিজিএম বিশ্বজিৎ পাল জানান, কর্মদক্ষতা ও পরিষেবার মান বাড়াতে এই ব্যবস্থা।

Advertisement

সংস্থা সূত্রের খবর, কর্মসংস্কৃতি নিয়ে অভিযোগের প্রেক্ষিতে বছরখানেক আগে ক্যাল-টেলের মূল দফতর টেলিফোন ভবন ও চারটি বড় এক্সচেঞ্জে পরীক্ষামূলক ভাবে বায়োমেট্রিক হাজিরা ব্যবস্থা চালু করা হয়। এখনও পর্যন্ত মোট ৩৭টি অফিসে বাধ্যতামূলক ভাবে তা চালু হয়েছে।

গ্রাহকদের একাংশের অবশ্য বক্তব্য, কর্মসংস্কৃতি ফেরানোর জন্য বিভিন্ন রকম পরীক্ষানিরীক্ষা চলতেই পারে। তবে পরিষেবার মানের উন্নতি হচ্ছে কি না, তা সময়ই বলবে। সংস্থাটির বামপন্থী কর্মী সংগঠনের (বিএসএনএল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন) নেতা শিশির রায় ও তৃণমূল সমর্থিত সংগঠনের (টেলিকম এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন, বিএসএনএল) নেতা বিশ্বনাথ দত্ত বায়োমেট্রিক পদ্ধতিকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে কর্মীদের একাংশ বলছেন, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হয়েও এখনও ৪জি স্পেকট্রাম পায়নি বিএসএনএল। শোনা যাচ্ছে কর্মী সঙ্কোচনের কথা। সংস্থার তরফ থেকে এই বিষয়গুলিও খোলসা করা উচিত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement