ছবি: সংগৃহীত।
ঠিকাদার নিয়োগের নতুন নিয়ম ঘিরে জটিলতায় এখনও সর্বত্র স্বাভাবিক হয়নি বিএসএনএলের শাখা ক্যালকাটা টেলিফোন্সের (ক্যাল-টেল) পরিষেবা। এরই মধ্যে আবার সংস্থার সদর দফতর টেলিফোন ভবন-সহ বিভিন্ন এক্সচেঞ্জের কেব্ল কাটা পড়ায় পরিষেবা আরও বিপর্যস্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ কর্তৃপক্ষের। তাঁদের দাবি, দুষ্কৃতীরা কেব্ল চুরি করলে সাধারণত অনেক বেশি অংশ কেটে নেয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তা হয়নি। কাটা পড়ছে কেব্লের অল্প অংশ। কিন্তু তা-ই পরিষেবা বিপর্যস্ত করার পক্ষে যথেষ্ট। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি কেউ ইচ্ছা করে পরিষেবায় বিঘ্ন ঘটাতে চাইছে।
সময় বেঁধে উন্নত পরিষেবা দিতে সর্বত্র ঠিকাদার নিয়োগের নতুন নিয়ম চালু করেছে বিএসএনএল। কিন্তু তাতে আপত্তি তুলে ক্যাল-টেলের পুরনো ঠিকা কর্মীদের একাংশ আন্দোলনে নামায় অনেক এক্সচেঞ্জে কাজকর্ম প্রায় বন্ধ। খারাপ লাইন মেরামতি হচ্ছে না। ঠিকা কর্মীদের দাবি, তাঁদের দীর্ঘ দিনের বেতন বাকি। ক্যাল-টেলের সিজিএম বিশ্বজিৎ পালের যদিও বক্তব্য, যেখানে কাজ স্বাভাবিক হবে, সেখানে কিস্তিতে বকেয়া মেটানো হবে। সেই নীতি মেনে অনেক জায়গায় তা মেটানো হচ্ছেও।
বিশ্বজিৎবাবু জানান, টেলিফোন ভবনের পাশাপাশি বেহালা, সল্টলেক, বাগবাজার, ব্যারাকপুর, সার্কাস অ্যাভিনিউ, হুগলির বিভিন্ন এক্সচেঞ্জের কেব্ল লাইন কাটা পড়ছে। অনেক ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন বা সরকারি-বেসরকারি সংস্থার কাজে খোঁড়াখুঁড়ি হলে কেব্ল কাটে। সে রকম কাজের খবরও ওই সব অঞ্চলে নেই। আর কেউ চুরি করলে অনেক বেশি কেব্ল কেটে নেয়। তাই ইচ্ছাকৃত ভাবে পরিষেবা ব্যাহত করার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা
হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘এতে গ্রাহকদের সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি দফতরে পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। জিপিও-র পরিষেবা বন্ধ হয়েছিল। পুলিশ-প্রশাসনে অভিযোগ জানানো হয়েছে।’’ বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিষেবা ব্যাহত হলে অসন্তোষ বাড়বে। আরও ধাক্কা খাবে আয়। বকেয়া মেটানো বা ব্যবসা চালানো নিয়ে সংশয় তৈরি হতে পারে।