প্রতীকী ছবি।
ভোডাফোনের পরে এ বার কেয়ার্ন এনার্জি। ফের কর চাপানোর মামলায় আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতা আদালতে হার হল ভারতের। পুরনো লেনদেনে কর চাপানোর এই মামলায় হারের ফলে কেয়ার্ন এনার্জির থেকে অন্তত ১০,২০০ কোটি টাকা কর হাতছাড়া হল।
২০১৪ সালে রেট্রোস্পকটিভ কর আইন অনুযায়ী কেয়ার্সস এনার্জিকে পুরনো লেনদেনা কর মেটানোর নোটিশ দিয়েছিল আয়কর বিভাগ। তা চ্যালেঞ্জ করে ২০১৫ সালে হেগ-এর আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতা ট্রাইবুনালের দ্বারস্থ হয়েছিল সংশ্লিষ্ট সংস্থাটি।
দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন প্রণব মুখোপাধ্যায় ২০১২ সালে রেট্রোস্পকটিভ কর আইন রূপায়ণে পদক্ষেপ করেছিলেন। কিন্তু ওই আইন অনুযায়ী পুরনো লেনদেনের উপর কর নিতে গিয়ে তিন মাস আগেই হেগ-এর আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতা আদালতে ভোডাফোন সংস্থার কাছে হার হয় কেন্দ্রীয় সরকারের।
২০১১ সালে ব্রিটিশ সংস্থা কেয়ার্ন এনার্জির তরফে কেয়ার্ন ইন্ডিয়ার অধিকাংশ শেয়ার বেদান্তকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ২০০৭ সালের ক্যাপিটল গেন বা মূলধনী লাভের হিসেব করে অতিরিক্ত করের জন্য নোটিস পাঠিয়েছিল আয়কর দফতর। পাশাপাশি, আরও কিছু ক্ষেত্রে করের দাবি ছিল। যার মোট অঙ্ক প্রায় ২৪ হাজার কোটি।
আরও পড়ুন: বড়দিনের কেকেও করোনা কাঁটা
২০১৩ সালে কেয়ার্ন ইন্ডিয়ার তরফে জানানো হয়েছিল, শেয়ারহোল্ডাররা তাঁদের হাতে থাকা প্রতিটি শেয়ারের জন্য পাবেন বেদান্তের একটি করে শেয়ার। সেই সঙ্গে ৪টি করে রিডিমেবল প্রেফারেন্স শেয়ার পাবেন তাঁরা, যার মূল দাম ১০ টাকা।
আরও পড়ুন: ব্রিটেনে নয়া ভাইরাসের ধাক্কায় রেকর্ড পতন সেনসেক্স-নিফটি-র