Cairn Energy

ভারতের ৭০০০ কোটি ডলারের সম্পত্তি চিহ্নিত

ভারতে বাজেয়াপ্ত হওয়া অর্থ আদায়ের লক্ষ্যে প্রথমে আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতে গিয়েছিল ব্রিটেনের সংস্থা কেয়ার্ন এনার্জি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০২১ ০৬:৪৫
Share:

ফাইল চিত্র।

বকেয়া করের মামলায় ভারতের থেকে ১৭২.৫ কোটি ডলার (১২,৬০০ কোটি টাকা) আদায় করতে আইনি লড়াইয়ে নেমেছে ব্রিটেনের সংস্থা কেয়ার্ন এনার্জি। তাদের লক্ষ্য, ভারত ওই টাকা ফেরত না-দিলে বিভিন্ন দেশে ভারত সরকারের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে টাকা আদায় করা। সূত্রের খবর, এর জন্য ইতিমধ্যেই ৭০০০ কোটি ডলারের সম্পত্তি চিহ্নিত করে ফেলেছে কেয়ার্ন। এই তালিকায় রয়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান, শিপিং কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ার জাহাজ, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট এবং রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার সম্পদ। কোন দেশে কোন সম্পদ চিহ্নিত করা হয়েছে সে ব্যাপারে নির্দিষ্ট ভাবে জানা না গেলেও, এ বার সংশ্লিষ্ট দেশগুলিতে বিচার বিভাগের দ্বারস্থ হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সংস্থাটি।

Advertisement

ভারতে বাজেয়াপ্ত হওয়া অর্থ আদায়ের লক্ষ্যে প্রথমে আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতে গিয়েছিল ব্রিটেনের সংস্থা কেয়ার্ন এনার্জি। সেই মামলায় জয় পেয়েছে তারা। এর পরে এয়ার ইন্ডিয়ার সম্পত্তি বিক্রি করে অর্থ আদায়ের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ইতিমধ্যেই আমেরিকার আদালতে গিয়েছে ব্রিটেনের সংস্থাটি। সেখানে রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থাটিকে ‘অল্টার ইগো’ বা ‘ভারত সরকারের সত্ত্বা’ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে তারা। আদালত সেই দাবি মেনে নিলে তবেই পরবর্তী ধাপে সেই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার জন্য আবেদন জানাতে পারবে কেয়ার্ন। পাশাপাশি, নেদারল্যান্ডসের আন্তর্জাতিক সালি‌শি আদালতের রায়কে মান্যতা দেওয়ার জন্য আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, সিঙ্গাপুর, মরিশাস, কানাডা, জাপান এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহির আদালতেও গিয়েছে তারা।

একটি সূত্রের বক্তব্য, ‘‘নিজেদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হওয়া আটকাতে ভারত নিশ্চিত ভাবেই আইনি পদক্ষেপ করবে। তবে সে ক্ষেত্রে ওই সম্পদের সমপরিমাণ অর্থ আদালতের কাছে বন্ধক হিসেবে রাখতে হবে। মামলায় ভারত জিতলে তা ফেরত পাওয়া যাবে। কিন্তু উল্টোটা হলে সেই অর্থই যাবে কেয়ার্নের হাতে।’’

Advertisement

ভারতে সংস্থা পুনর্গঠন করে কেয়ার্ন ইন্ডিয়ার কাছে অংশীদারি বেচেছিল কেয়ার্ন এনার্জি। সেই বাবদ তাদের থেকে বকেয়া ১০,২৪৭ কোটি টাকা কর দাবি করেছিল আয়কর দফতর। পরে শেয়ার, ডিভিডেন্ড এবং ফেরতযোগ্য কর বাজেয়াপ্ত করে কেন্দ্র। সেই টাকা সুদ সমেত আদায়ের লক্ষ্যেই আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতের দ্বারস্থ হয় কেয়ার্ন। সরকার অবশ্য সম্প্রতি বলেছে, পুরো বিষয়টির আইনি মোকাবিলা করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement