Cairn Energy

পাঁচ দেশে ভারতের সম্পত্তি বিক্রির পথে কেয়ার্ন এনার্জি

কেয়ার্ন ভারত সরকারকে টাকা ফেরানোর নির্দেশ মানতে বাধ্য করার জন্য এখনও পর্যন্ত মোট ন’টি দেশের আদালতে গিয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০২১ ০৬:৫৬
Share:

—প্রতীকী ছবি।

মোদী সরকার যখন কেয়ার্নের বকেয়া কর মামলায় আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতের নির্দেশের বিরুদ্ধে আবেদনের ইঙ্গিত দিচ্ছে, তখন কেয়ার্ন এনার্জি আরও এক পা এগোলো ভারতের থেকে ক্ষতিপূরণের অর্থ আদায়ের লক্ষ্যে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, আমেরিকা এবং ব্রিটেন-সহ পাঁচটি দেশের আদালত নেদারল্যান্ডসের স্থায়ী সালিশি আদালতের রায়কে স্বীকৃতি দিয়েছে। গত ২১ ডিসেম্বর যে রায়ে বকেয়া কর চাওয়ার জন্য ভারতের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলে কেয়ার্ন এনার্জিকে ১৪০ কোটি ডলার (প্রায় ১০,৫০০ কোটি টাকা) ফেরাতে বলা হয়েছিল। নয়াদিল্লি টাকা না-মেটালে বিদেশে ভারতের সম্পত্তি বেচে তা কড়ায়-গণ্ডায় উসুল করার হুঁশিয়ারি আগেই দিয়েছে ব্রিটিশ সংস্থা কেয়ার্ন। সূত্রের খবর, ওই পাঁচটি দেশে এ বার সেই পদক্ষেপের রাস্তাই খুলে গেল।

Advertisement

কেয়ার্ন ভারত সরকারকে টাকা ফেরানোর নির্দেশ মানতে বাধ্য করার জন্য এখনও পর্যন্ত মোট ন’টি দেশের আদালতে গিয়েছে। সূত্রের খবর, তার মধ্যে আমেরিকা, ব্রিটেন, নেদারল্যান্ডস, কানাডা এবং ফ্রান্সের আদালত সালিশি আদালতের নির্দেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে। অন্য দিকে, সিঙ্গাপুর, জাপান, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং কেম্যান আয়ল্যান্ডস শুরু করেছে সালিশি আদালতের রায় নথিবদ্ধ করার প্রক্রিয়া। সূত্র জানাচ্ছে, আদালতের স্বীকৃতি পাওয়ার অর্থ এ বার ওই সব দেশে ভারত সরকারের সম্পত্তি চিহ্নিত করে বাজেয়াপ্ত করার আবেদন জানাতে পারবে কেয়ার্ন। ফলে কেন্দ্র টাকা না-মেটালে সেই সব সম্পত্তি বেচে নিজেরাই তা তুলে নিতে পারবে।

কেন্দ্র অবশ্য সালিশি আদালতের নির্দেশ মেনে টাকা মেটাবে, নাকি তার বিরুদ্ধে আবেদন করবে সরাসরি জানায়নি এখনও। তবে সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন কেয়ার্নের নাম না-করলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন, আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতের নির্দেশের বিরুদ্ধে আবেদনই করতে চায় সরকার। কারণ, একটি সার্বভৌম দেশে সরকারের কর বসানোর অধিকার নিয়ে যখন প্রশ্ন তোলা হয়েছে, তখন তার বিরুদ্ধে আবেদন করা তাঁর ‘কর্তব্য’। সূত্রের দাবি, নির্দেশটিতে ভারতের মাটিতে কর বসানোর অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়নি, অভিযোগ আন্তর্জাতিক আইন ভাঙার। যার বিরুদ্ধে আবেদন করার পথও সীমিত। সরকার গোটা বিষয়টি এ বার সামলাবে কী ভাবে, সেটাই এখন দেখার।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement