—ফাইল চিত্র।
অর্থনীতির সমস্যার সমাধানে সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিজেপির সাংসদদের বলেছিলেন, ছোট ব্যবসায়ী থেকে চাষিদের কোথায় সমস্যা হচ্ছে, তা নিয়ে নিজের নিজের এলাকার পরিস্থিতি অনুযায়ী অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে জানাতে হবে। আর বিকেলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় মোদী সরকার অর্থনীতির ঝিমুনি কাটানোর চেষ্টায় একসঙ্গে তিনটি সিদ্ধান্ত নিল—
এক, নগদের অভাবে ধুঁকতে থাকা ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফসি) সমস্যা মেটাতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে সাহায্য করা হবে।
দুই, দেউলিয়া বিধিকে আরও কার্যকর করতে দেউলিয়া সংস্থাগুলির মালিকদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা থাকলে, তা থেকে সংস্থার নতুন ক্রেতাদের সুরক্ষা দেওয়া হবে।
তিন, পরিকাঠামোয় বেসরকারি লগ্নি টানতে সায় দেওয়া হল জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে পরিকাঠামো লগ্নি তহবিল তৈরিরও। এতে রাস্তার কাজ শেষের পরে এক বছর টোল সংগ্রহ করে তা বেসরকারি হাতে তুলে দিতে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সুবিধা হবে।
মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত
নজরে এনবিএফসি
• এনবিএফসি-র সম্পত্তি কিনতে একবার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে ছ’মাসের জন্য আংশিক ঋণ গ্যারান্টি কেন্দ্রের।
• প্রথমবার ১০% পর্যন্ত লোকসানে তা মিলবে।
• রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির জন্য আগামী ৩০ জুন বা ১ লক্ষ কোটি টাকা পর্যন্ত গ্যারান্টি বহাল থাকবে। অর্থমন্ত্রী আরও তিন মাস মেয়াদ বাড়াতে পারেন।
দেউলিয়া বিধি
• দেউলিয়া সংস্থার মালিকদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা থাকলে, তা থেকে সংস্থার নতুন ক্রেতাদের সুরাহা দিতে বিধি বদলে সায়।
পরিকাঠামোর জন্য
• জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে পরিকাঠামো লগ্নি তহবিল তৈরির অনুমতি।
• যে কোনও ব্যক্তি বা সংস্থা লগ্নি করতে পারবে।
• রাস্তার কাজ শেষ হলে এক বছর টোল সংগ্রহ করে তা বেসরকারি হাতে তুলে দিতে সুবিধা হবে।
অর্থ মন্ত্রক সূত্রের দাবি, এই তিনটি সিদ্ধান্তই অর্থনীতির ঝিমুনি কাটাতে কার্যকর হবে। কেন্দ্রের যুক্তি, নগদের অভাবে ধুঁকছে বলে এনবিএফসি, হাউসিং ফিনান্স সংস্থাগুলি ঋণ দিতে পারছে না। এ জন্য আবাসন ক্ষেত্র, ছোট শিল্প থেকে কেনাকাটা করতে চাওয়া আমজনতার উপরে প্রভাব পড়ছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি এনবিএফসি-র সম্পত্তি কিনলে তাদের হাতে টাকা আসবে। বাজারে নগদের জোগানও বাড়বে। যার হাত ধরে চাঙ্গা হবে অর্থনীতি।