Dhanteras 2023

ধনতেরসে বিক্রি বাড়ল, চাহিদা হালকা গয়নার

কোভিড হানার পর থেকে তিন বছর গয়না ব্যবসা মার খাওয়ার পরে এ বার ধনতেরসে তা ছন্দে ফিরেছে। এমনকি স্বর্ণ শিল্প মহলের একাংশের দাবি, বিক্রি ছাপিয়েছে প্রাক-কোভিড পর্বকেও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৩ ০৫:৪৮
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

গত বছরের তুলনায় কলকাতায় ১০ গ্রাম পাকা সোনার (২৪ ক্যারাট) দাম ৯১০০ টাকা বেশি। সে বার ছিল জিএসটি ছাড়া ৫১,৩৫০ টাকা। এ বার ৬০,৪৫০ টাকা। তার পরেও শুক্র এবং শনিবার ধনতেরসের বাজার হাসি ফোটাল মূলত বড় ব্যবসায়ীদের মুখে। তুলনায় কিছুটা নিষ্প্রভ পাড়ার ছোট দোকানিরা। যদিও সোনার গয়না বিক্রি গত কয়েক বছরের থেকে বেশি হওয়ার দাবি করছেন প্রায় সকলেই। তবে তাঁদের পর্যবেক্ষণ, চড়া মূল্যবৃদ্ধির বাজারে চাহিদার অনেকটাই সরে গিয়েছে যতটা সম্ভব হালকা গয়নায়।

Advertisement

কোভিড হানার পর থেকে তিন বছর গয়না ব্যবসা মার খাওয়ার পরে এ বার ধনতেরসে তা ছন্দে ফিরেছে। এমনকি স্বর্ণ শিল্প মহলের একাংশের দাবি, বিক্রি ছাপিয়েছে প্রাক-কোভিড পর্বকেও। তবে বড় দোকানগুলির চেয়ে ছোটরা অনেকটাই পিছিয়ে ছিল। শনিবার নদিয়ার হবিবপুরের ছোট ব্যবসায়ী সুবীর দে বলেন, “শুক্রবার ধনতেরসের প্রথম দিন বিক্রি ভাল হয়েছে। শনিবার খুব কম। বড়
বিপণিতে অনেক তৈরি গয়না সাজানো থাকে। সেখানেই তাই ভিড় হয় বেশি। ফলে বিক্রিও বেশি। আমরা মূলত বরাত নিয়ে গয়না তৈরি করে বিক্রি করি। তবে সব মিলিয়ে ব্যবসা খুব খারাপ হয়েছে বলতে পারব না।’’ ভদ্রেশ্বরের ছোট দোকানের মালিক লিটন দত্তের দাবি, “সোনার দাম বেশ উঁচুতে। আমাদের মতো করে ব্যবসা করেছি। গত বছরের থেকে বিক্রি বেড়েছে, এটাই জরুরি ছিল।’’

তবে বিক্রি করোনা আসার আগের থেকেও বেশি হয়েছে বলে দাবি বৌবাজারের গিনি এম্পোরিয়ামের কর্তা সমর দে-র। তিনি বলেন, “শুক্রবার দোকান বন্ধ করেছি রাত প্রায় দেড়টায়। শনিবারও বিক্রি ভাল হচ্ছে। গত বারের থেকে কমপক্ষে ৩০% বেড়েছে।’’ সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডসের কর্ণধার শুভঙ্কর সেন বলছেন, “বিক্রি ২০% বেড়েছে। ছেলেদের মধ্যে অনেকেই ব্রেসলেট বা চেন কিনেছেন। তবে দামের চাপ কমাতে দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য হালকা গয়নার দিকেই বেশি ঝুঁকছেন ক্রেতারা। এক মাসে ৩৫ লক্ষ বিয়ের অনুষ্ঠান রয়েছে। শুধু বিয়ের গয়নার চাহিদা ভারির দিকে।’’ শ্যামসুন্দর জুয়েলার্সের কর্ণধার রূপক সাহার কথায়, ‘‘ব্যবসা ভাল হবে জানতাম। তবে এতটা সাড়া পাব ভাবিনি।’’

Advertisement

অঞ্জলি জুয়েলার্সের ডিরেক্টর অনর্ঘ উত্তীয় চৌধুরী আবার বলছেন, “৬০,০০০ টাকা দামটা ক্রেতাদের গা সওয়া হয়ে গিয়েছে। অনেকই দাম আরও বাড়ার আশঙ্কায় ধনতেরসে কেনাকাটা সেরে রাখছেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement