প্রতীকী ছবি।
জোগান বাড়িয়ে কাঁচা পাটের দাম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ওই পণ্যের মজুত কমানোর নির্দেশ দিয়েছিল জুট কমিশনারের দফতর। সেই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আজ, সোমবার থেকে পাট ব্যবসায়ীরা পাট কেনাবেচা বন্ধের ডাক দিয়েছেন। রবিবার তাঁদের সংগঠন জুট বেলার্স অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, এর পাশাপাশি জুট কমিশনারের নির্দেশের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে তারা।
সংগঠনের সভাপতি মদনগোপাল তোশনিওয়াল বলেন, ‘‘জুট কমিশনারের দফতর মজুতের ঊর্ধ্বসীমা কমানোর যে নির্দেশ দিয়েছে, তার বিরুদ্ধে আমরা হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছি।’’
চট শিল্প সূত্রের খবর, খরিফ মরসুমের খাদ্যশস্য রাখার জন্য পঞ্জাব ও হরিয়ানা-সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে চটের বস্তার বরাত আসছে পশ্চিমবঙ্গের চটকলগুলির হাতে। দ্রুত সেই বস্তা সরবরাহের চাপও রয়েছে। কিন্তু চলতি মরসুমে কাঁচা পাটের জোগান এমনিতেই কম। তার উপর কুইন্টাল প্রতি ওই পণ্যের দাম সম্প্রতি ৬০০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। চটকল মালিকদের একাংশ মনে করছেন, মজুতদারি বাড়ার ফলেই কাঁচা পাটের দাম ক্রমাগত বাড়ছে। এই অবস্থায় মজুত কমিয়ে এবং সরবরাহ বাড়িয়ে পণ্যটির দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে কেন্দ্রীয় বস্ত্র মন্ত্রকের অধীনে থাকা জুট কমিশনারের দফতর। সম্প্রতি নির্দেশিকা জারি করে তারা জানায়, ৫০০ কুইন্টালের বেশি কাঁচা পাট মজুত করা যাবে না। যা এর আগে ছিল ১৫০০ কুইন্টাল।
পাট ব্যবসায়ীদের একাংশের অবশ্য বক্তব্য, এ বছর আমপান এবং লকডাউনের জন্যই কাঁচা পাটের উৎপাদন কমেছে। সে কারণেই কমেছে সরবরাহ। আবার অনেক পাট চাষিও কিছুটা বেশি দাম পাওয়ার লক্ষ্যে কাঁচা পাট মজুত করছেন। তা ছাড়া মাত্র ৫০০ কুইন্টাল পাট হাতে রেখে ব্যবসা করাও অসম্ভব। এই অবস্থায় জুট কমিশনারের দফতরের নির্দেশের বিরুদ্ধে আজ, সোমবার থেকে পাটের কারবার বন্ধ রাখবেন তাঁরা। একই সঙ্গে সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টেও আবেদন জানিয়েছে তাঁদের সংগঠন।
এরই মধ্যে সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে বিভিন্ন পক্ষকে নিয়ে কাল, মঙ্গলবার বৈঠক ডেকেছে রাজ্যের খাদ্য দফতর। সেই বৈঠকের দিকেই সংশ্লিষ্ট সমস্ত মহল এখন তাকিয়ে।