—ফাইল চিত্র।
লকডাউনের জেরে গত কয়েক মাস ব্যবসার বরাত না-থাকায় পুঁজির অভাবে কার্যত দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে মেটিয়াবুরুজের ওস্তাগরদের। করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় পুজোর আগেও পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিভিন্ন রাজ্যের পাইকারি খদ্দেররা পা রাখছেন না কাপড়ের হাটগুলিতে। এই অবস্থায় ওই ওস্তাগরদের কিছুটা হলেও আশা দেখাচ্ছে ডিজিটাল প্রযুক্তি। স্মার্টফোনে নতুন ডিজাইনের পোশাকের ছবি তুলে ভিন্ রাজ্যের খদ্দেরদের পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পছন্দ হলে মিলছে বরাত। ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থায় টাকা চলে আসছে ওস্তাগরদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। এই ব্যবস্থাকে হাতিয়ার করেই উৎসবের মরসুমে টিকে থাকার লড়াই শুরু করেছে মেটিয়াবুরুজ।
উৎসবের মরসুমে অন্যান্য বছর নাওয়া-খাওয়ার সময়ে মেলে না মেটিয়াবুরুজের কাপড় ব্যবসায়ীদের। অতিমারির আক্রমণে এ বছর ছবিটা অনেকটাই অন্য রকম। অনেকে ধরেই নিয়েছিলেন, এই মরসুমে ব্যবসা বোধ হয় একেবারেই হবে না। এই অবস্থায় শুরুতে কয়েক জন চেষ্টা করেন ডিজিটাল প্রযুক্তিকে কাজে লাগানোর। ঠিক ই-কমার্সের ধাঁচে। খবর ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য ওস্তাগরের ঘরেও।
মেটিয়াবুরুজের ওস্তাগরদের নিয়ে তৈরি বাংলা রেডিমেড গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড ট্রেডার্স ওয়েলফেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সংগঠনের সম্পাদক আলমগির ফকিরের দাবি, গত কয়েক বছর ধরে মেটিয়াবুরুজ ক্লাস্টারে গড়ে ২২,০০০-২৫,০০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে। যার অর্ধেকই উৎসবের মরসুমে। সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা জানাচ্ছেন, গত বছরেও পুজোর আগের কয়েক মাসে প্রায় ১০,০০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছিল। এ বছর ব্যবসা তার ধারেকাছে নেই। তবে ডিজিটাল প্রযুক্তির হাত ধরে তা ৩০০০ কোটিতে পৌঁছতে পারে।
এক ঝলকে • মেটিয়াবুরুজে প্রায় ১৫,০০০ ছোট ছোট পোশাক কারখানা রয়েছে। • মূলত তৈরি হয় ছোটদের বাহারি পোশাক। • এর উপরে প্রায় দু’লক্ষ মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িয়ে। • এখানে তৈরি পোশাক বিক্রি হয় পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিভিন্ন রাজ্যের বড় হাটে। • রফতানি হয় বিদেশে।