গত ফেব্রুয়ারিতে জিএসটি পরিষদের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতীকী ছবি।
রিটার্ন দাখিল না করার জন্য যে সমস্ত ব্যবসার জিএসটি নথিভুক্তি বাতিল হয়ে গিয়েছে, তাদের তা পুনরুদ্ধারের আবেদনের জন্য ৩০ জুন পর্যন্ত সময় দিল কেন্দ্র। তবে তার আগে বকেয়া কর, সুদ এবং জরিমানা জমা দিতে হবে। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, এতে ব্যবসাদার এবং ব্যবসায়িক সংস্থাগুলির কিছুটা সুরাহা হবে। কারণ, বাতিল হয়ে যাওয়া জিএসটি নথিভুক্তি ফের কার্যকর করার জন্য এর আগে পর্যন্ত মাত্র ৩০ দিন সময় পাওয়া যেত। বিজ্ঞপ্তিতে অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে, এই সময়সীমা আর বাড়ানো হবে না। একই সঙ্গে কিছু ফি-ও কমিয়েছে কেন্দ্র।
গত ফেব্রুয়ারিতে জিএসটি পরিষদের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। সিদ্ধান্ত হয়, কর সংক্রান্ত কারণে যে সমস্ত ব্যবসার নথিভুক্তি বাতিল হয়ে গিয়েছে তাদের আরও একটি সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। তার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় জিএসটি আইন সংশোধন করে অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে, গত ৩১ ডিসেম্বর কিংবা তার আগে যে সমস্ত ব্যবসার জিএসটি নথিভুক্তি বাতিল হয়েছে এবং তা ফের কার্যকরের জন্য আবেদন করা হয়নি, তারা সেই আবেদন জমার জন্য ৩০ জুন পর্যন্ত সময় পাবে। তবে যে তারিখে নথিভুক্তি বাতিল হয়েছে, তার আগে পর্যন্ত জমা না দেওয়া সমস্ত রিটার্ন দাখিল করতে হবে তাদের। জমা দিতে হবে বকেয়া কর, জরিমানা এবং সুদ।
এর পাশাপাশি কেন্দ্র জানিয়েছে, যাঁরা চূড়ান্ত রিটার্ন ফর্ম (জিএসটিআর-১০) জমা করতে পারেননি তাঁদের সর্বোচ্চ লেট ফি হবে ১০০০ টাকা। এই সুবিধাও অবশ্য ৩০ জুন পর্যন্ত পাওয়া যাবে। কেউ জিএসটি নথিভুক্তি প্রত্যাহার করতে চাইলে এই রিটার্ন দাখিল করতে হয়। আর এক সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যে সমস্ত ছোট সংস্থার বার্ষিক ব্যবসার অঙ্ক ২০ কোটি টাকার মধ্যে, তাদের দেরিতে বার্ষিক রিটার্ন (জিএসটিআর-৯) দাখিলের লেট ফি-ও কমানো হচ্ছে। গত (২০২২-২৩) অর্থবর্ষ থেকে তা কার্যকর ধরা হবে। ব্যবসার অঙ্ক ৫ কোটি টাকার মধ্যে হলে দৈনিক লেট ফি ৫০ টাকা। তবে তা ব্যবসার অঙ্কের ০.০৪ শতাংশের বেশি হবে না। ৫ থেকে ২০ কোটি হলে দৈনিক গুনতে হবে ১০০ টাকা। এই ক্ষেত্রেও লেট ফি-র সর্বোচ্চ হার ব্যবসার অঙ্কের ০.০৪%।