বর্ষবরণের অপেক্ষায় গোটা দুনিয়া। তারমধ্যেই চলছেহিসেব-নিকেশ। টাকা-পয়সার দৌড়ে বিশ্বের তাবড় ধনকুবেররা কে কোথায় দাঁড়িয়ে, তা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। আর তাতেই চোখ কপালে উঠেছে সকলের। এশিয়ার ব্যবসায়ী মহল এ বছর তেমন লাভের মুখ দেখেনি বলে জানা গিয়েছে অর্থিক সংস্থা ব্লুমবার্গের হিসাবে।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ধনকুবেরদের নিয়ে ৫০০ জনের একটি তালিকা রয়েছে তাঁদের। যার মধ্য ১২৮ জন এশীয় ব্যবসায়ী এ বছর তেমন ব্যবসা জমাতে পারেননি। সম্মিলিত ভাবে প্রায় ১৩ হাজার ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার লোকসান হয়েছে তাঁদের। ২০১২ সালে প্রথমবার ওই তালিকাটি তারা ঘোষণা করেছিল। তার পর থেকে এই প্রথমবার এশিয়ার ব্যবসায়ীদের এই পরিমাণ ক্ষতি হল।
তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চিনের ওয়ান্ডা গ্রুপ। ধার দেনা মেটাতে এই মুহূর্তে সম্পত্তি পর্যন্ত বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের। এ বছর তাদের মোট ক্ষতির পরিমাণ ১০৮০ কোটি মার্কিন ডলার। এদের রয়েছে মাল্টিপ্লেক্সের ব্যবসা।
ধর্ষণের অভিযোগে এ বছর আমেরিকায় গ্রেফতার হন jd.COM-এর প্রতিষ্ঠাতা রিচার্ড লিউ। যদিও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছাড়া পেয়ে যান তিনি। তাঁর ক্ষতি হয়েছে ৪৮০ কোটি মার্কিন ডলার।
চিনের স্মার্ট ফোন সংস্থা জিয়াওমি কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান লি জুন। এ বছর ৮৭০ কোটি মার্কিন ডলার ডুবেছে তাঁর।
দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যবসায়ী মহলকেও এ বছর প্রবল ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। সম্মিলিতভাবে দেশের ৭ ধনকুবেরের মোট ক্ষতির পরিমাণ ১ হাজার ৭২০ কোটি মার্কিন ডলার, যার প্রায় দুই তৃতীয়াংশ স্যামসাঙের একার। লি কুঙ হি ও তাঁর ছেলে জে ওয়াই লি-র হাতে সংস্থার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
এ বছর ২৩ জন ভারতীয় ধনকুবেরের মোট ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২১০০ কোটি মার্কিন ডলার। স্টিল তৈরিতে পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে লক্ষ্মী মিত্তল। এ বছর তাঁর ক্ষতি হয়েছে ৫৯০ কোটি মার্কিন ডলার। যা তাঁর মোট সম্পত্তির ২৯ শতাংশ।
বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম ঔষধ প্রস্তুতকারক সংস্থা সান ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ। দিলীপ সাঙ্ঘভি ওই সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা। এ বছর তাঁর প্রায় ৪৬০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে।
তবে ভাগ্য ফিরেছে একমাত্র মুকেশ অম্বানীর। আলিবাবা কর্ণধার জ্যাক মা-কে পিছনে ফেলে এ বছর এশিয়ার ধনীতম মানুষ হিসাবে উঠে এসেছেন তিনি। ২০১৮ সালে ৪০০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি লাভ করেছে তাঁর রিলায়্যান্স সংস্থা।এই মুহূর্তে তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৪ হাজার ১০ কোটি মার্কিন ডলার।