আগামী অগস্টে শুরু হওয়ার কথা। ফাইল চিত্র।
কেন্দ্র এবং বিএসএনএল কর্তৃপক্ষের লক্ষ্য, আগামী অগস্টে ৪জি পরিষেবা আনা। সে জন্য দেশীয় প্রযুক্তি এবং তার ভিত্তিতে যন্ত্রাংশ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে পরীক্ষামূলক পরিষেবা চালু করতে বিএসএনএলের সদর দফতর যে ৬০০০ বিটিএসের (টাওয়ার, অ্যান্টেনা-সহ পরিকাঠামো) যন্ত্র কেনার বরাত দিয়েছে, তার মধ্যে ৩০০টির জন্য যন্ত্র বরাদ্দ হয়েছে সংস্থার ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কলের (বৃহত্তর কলকাতা বাদে রাজ্যের বাকি অংশের দায়িত্বপ্রাপ্ত) জন্য। বৃহত্তর কলকাতায় ক্যালকাটা টেলিফোন্স (ক্যালটেল) সার্কলের জন্য এখনও কিছু বরাদ্দ হয়নি। তবে ৪জি পরিকাঠামো গড়তে তৈরি হচ্ছে তারাও।
রুগ্ণ বিএসএনএলকে চাঙ্গা করতে আড়াই বছর আগে ঘোষিত পুনরুজ্জীবন প্রকল্পে ৪জি পরিষেবা চালুর জন্য সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু অভিযোগ, সেই কাজ বহু দিন এগোয়নি। এখন প্রতিদ্বন্দ্বী টেলিকম সংস্থাগুলি যখন ৫জি আনার তোড়জোড় করছে, তখন বিএসএনএল এগোতে শুরু করেছে ৪জি-র লক্ষ্যে। রাষ্ট্রায়ত্ত গবেষণা সংস্থা সি ডট-এর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে সেই দেশীয় ৪জি প্রযুক্তি তৈরি করেছে টিসিএস এবং টাটা গোষ্ঠীর আর এক সংস্থা তেজস। তার উপর ভিত্তি করে প্রয়োজনীয় যন্ত্রও তৈরি করছে তারাই। পরীক্ষামূলক ব্যবহারের জন্য কেনা হচ্ছে ৬০০০টি বিটিএসের যন্ত্র।
সংস্থা সূত্রের খবর, এর মধ্যে রাজ্য সার্কল পাবে ৩০০টি বিটিএসের যন্ত্র। সার্কল সূত্রের ইঙ্গিত, প্রাথমিক ভাবে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বীরভূম এবং ক্যালটেলের এলাকা বাদে দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলির কিছু জায়গায় সেগুলি বসানো হবে। মূলত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা, যেখানে সহজে অপটিক্যাল ফাইবারের সংযোগ মিলবে, সেই জায়গাগুলিই চিহ্নিত হচ্ছে। দুর্গাপুরে বসবে ৪জি পরিষেবা দেওয়ার মূল পরিকাঠামো (কোর সিস্টেম)। সার্কলের আশা, মে-জুনে বরাদ্দ অনুযায়ী যন্ত্র মিললে এবং সব কিছু ঠিকঠাক চললে মাস দেড়েকের মধ্যে পরীক্ষামূলক পরিষেবা চালু হবে। তার আগাম প্রস্তুতি হিসেবে বর্তমান গ্রাহকের নিখরচায় মোবাইলের ৩জি সিম বদলে ৪জি দেওয়া হচ্ছে।
ক্যালটেল এলাকার জন্য ক’টি বিটিএসের যন্ত্র বরাদ্দ হবে, তা নিশ্চিত নয়। তবে সূত্রের খবর, ৪জি পরিষেবা পরিচালনার মূল কেন্দ্রটি হবে সল্টলেকে, সংস্থার মোবাইল পরিষেবা পরিচালনা কেন্দ্রেই। সেখানে বসবে মূল পরিকাঠামো বা কোর সিস্টেম। শীঘ্রই শুরু হবে সেই কাজ।