বরাবর মাসের শেষ দিনে বেতন পান বিএসএনএলের স্থায়ী কর্মী-আধিকারিকেরা। কিন্তু আর্থিক সঙ্কটের জেরে শুক্রবার পর্যন্ত ফেব্রুয়ারির বেতন পাননি তাঁরা। কর্মী-অফিসারদের সংগঠন অল ইউনিয়ন্স অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েশন্স অব বিএসএনএলের (এইউএবি) দাবি, এ দিন পর্যন্ত বেতনের টাকা মঞ্জুর হয়নি। মাস পয়লার দিনেও এ ভাবে বেতনের টাকা মঞ্জুর না হওয়ার ঘটনা এই প্রথম।
এ দিন দিল্লিতে সংস্থাটির সদর দফতরের পাশাপাশি বিভিন্ন সার্কলে কর্মী সংগঠন বিক্ষোভ দেখায় বলে সংস্থা সূত্রের খবর। যদিও এ নিয়ে সংস্থার তরফে প্রতিক্রিয়া মেলেনি। সিএমডি অনুপম শ্রীবাস্তবকে ই-মেল করা হলেও রাত পর্যন্ত আসেনি জবাব।
সঙ্কটের জেরে আগেই সংস্থাটির স্থায়ী কর্মী ও অবসরপ্রাপ্তদের নানা আর্থিক সুবিধা সাময়িক বন্ধ হয়েছে। বেতন অনিয়মিত ঠিকা কর্মীদের। বকেয়া পড়ছে বিদ্যুৎ-সহ নানা বিলও। আর এক রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা এমটিএনএলের কর্মীদের বেতনও এক মাস দেরিতে হচ্ছে।
এইউএবি-র রাজ্য আহ্বায়ক অনিমেষ মিত্রের দাবি, পদ্ধতিগত দেরিতে কোনও সার্কলে বিক্ষিপ্ত ভাবে দু’একবার মাস পয়লায় বেতন হয়েছে। কিন্তু এ বারই প্রথম মাস পয়লাতেও তা হল না। তিনি বলেন, ‘‘বেতন মঞ্জুর না হওয়া অভূতপূর্ব। দ্রুত তা মেটাতে সিএমডি-র কাছে ডেপুটেশন দেব।’’
তাঁদের অভিযোগ, কেন্দ্র রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটিকে রুগ্ণতার পথে ঠেলে দিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘কর্তৃপক্ষ বলেছেন, তাঁরা ব্যাঙ্ক ঋণ নিতে টেলিকম দফতরের কাছে আর্জি জানালেও সায় মেলেনি। পরিচালনা ও পরিষেবা উন্নয়নে যা অন্য সংস্থাও নেয়। টেলি শিল্পে বিএসএনএলের ঋণই সবচেয়ে কম।’’