BSNL

কলকাতার পরিবর্তে ৪জি সংযোগ শুরু জেলা দিয়ে

শুক্রবার ক্যাল-টেলের সিজিএম বিশ্বজিৎ পাল জানান, কলকাতার মতো এলাকায় যেখানে টাওয়ারের ঘনত্ব বেশি, সেখানে ৩জি স্পেকট্রাম দিয়ে ৪জি চালুর প্রযুক্তিগত সমস্যা আছে। তাই এ মাসে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি, হাওড়ার কিছু অঞ্চলে ১০৭টি ৪জি টাওয়ার বসানো হচ্ছে।

Advertisement

দেবপ্রিয় সেনগুপ্ত

শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২০ ০৬:৪৫
Share:

ফাইল চিত্র।

পুনরুজ্জীবন প্রকল্পের অঙ্গ হিসেবে ৪জি স্পেকট্রাম দেওয়ার আশ্বাসের বছর ঘুরতে দিন সাতেক বাকি। কিন্তু এখনও সেই স্পেকট্রাম মেলেনি। তাই খাস কলকাতায় আগে ৪জি পরিষেবা চালুর যে পরিকল্পনা বিএসএনএলের ছিল, তা থমকে গিয়েছে। বদলে আপাতত ৩জি স্পেকট্রাম দিয়েই কলকাতা সংলগ্ন শহরতলির কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্ত ভাবে ৪জি চালু করতে চাইছে সংস্থাটির কলকাতা শাখা, ক্যালকাটা টেলিফোন্স (ক্যাল-টেল)। সংস্থা সূত্রের খবর, সব ঠিকঠাক চললে এ মাসেই পরিষেবা চালু হবে।

Advertisement

শুক্রবার ক্যাল-টেলের সিজিএম বিশ্বজিৎ পাল জানান, কলকাতার মতো এলাকায় যেখানে টাওয়ারের ঘনত্ব বেশি, সেখানে ৩জি স্পেকট্রাম দিয়ে ৪জি চালুর প্রযুক্তিগত সমস্যা আছে। তাই এ মাসে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি, হাওড়ার কিছু অঞ্চলে ১০৭টি ৪জি টাওয়ার বসানো হচ্ছে। স্পেকট্রাম না-মেলা পর্যন্ত এ ভাবেই আংশিক পরিষেবা দেওয়া ছাড়া উপায় নেই।

গত বছর অক্টোবরে পুনরুজ্জীবন প্রকল্প ঘোষণার সময় বিএসএনএলকে ৪জি স্পেকট্রাম দেওয়ার আশ্বাস দেয় কেন্দ্র। তার আগে বিএসএনএলের ওয়েস্ট বেঙ্গল (গ্যাংটকে), কেরল, ওড়িশা সার্কলের মতো কিছু শাখা ৩জি স্পেকট্রাম দিয়ে অল্প কিছু অঞ্চলে পরীক্ষামূলক ভাবে ৪জি পরিষেবা চালু করেছে। কিন্তু বিএসএনএলের মোট এলাকার তুলনায় সেটা নগণ্য। পুরোদস্তুর এই পরিষেবা থমকে স্পেকট্রামের অভাবেই।

Advertisement

কলকাতার একাংশকে দিয়ে ৪জি পরিষেবা আনার পরিকল্পনা ছিল ক্যাল-টেলের। এ জন্য তারা কিছু যন্ত্রাংশও কেনে। কিন্তু স্পেকট্রাম না-মেলায় ৪জি টাওয়ারই চালু করা যায়নি। উপরন্তু নতুন যন্ত্রাংশ কেনার বরাত দেওয়ার প্রক্রিয়াও থমকে যায় লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনার জেরে। চিনা সংস্থাকে এর থেকে দূরে রাখতে বিদেশি সংস্থা দরপত্র দিতে পারবে না বলে জানায় কেন্দ্র। তাই আপাতত জেলার হাতে গোনা কিছু অঞ্চলে ৩জি স্পেকট্রাম মারফত ৪জি পরিষেবা আনতে চাইছে তারা। যদিও প্রশ্ন উঠছে, এটুকু দিয়ে প্রতিযোগিতায় আদৌ টিকে থাকা সম্ভব কি? বিশেষত প্রতিদ্বন্দ্বীরা যখন ৫জি-র কথা ভাবছে!

এ দিকে, সব রাজ্য সরকারি দফতর ও তাদের সংস্থায় টেলি পরিষেবার ভার বিএসএনএল, এমটিএনএলকে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনার আর্জি জানিয়েছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের সব মন্ত্রক, দফতর, রাষ্ট্রায়ত্ত ও স্বশাসিত সংস্থায় এই দুই সংস্থার পরিষেবা বাধ্যতামূলক হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement