প্রতীকী ছবি।
কেন্দ্র বিএসএনএলের পুনরুজ্জীবন প্রকল্পে সিলমোহর দেওয়ার আগেই খরচ কমাতে শাখা সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছিল সদর দফতর। তার মধ্যে উদ্বৃত্ত জমি বিক্রি, ছোট ও অলাভজনক এক্সচেঞ্জ বন্ধের মতো পরিকল্পনা ছিল। এ রাজ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থাটির দুই শাখা, ক্যালকাটা টেলিফোন্স ও ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কল তাই প্রথম পর্যায়ে মোট চারটি উদ্বৃত্ত জমি চিহ্নিত করেছে। কলকাতা-সহ এই রাজ্যেই রয়েছে যেগুলি। বন্ধ করা হয়েছে ১০০-র বেশি ছোট এক্সচেঞ্জও।
সদ্য বিএসএনএল এবং এমটিএনএলের পুনরুজ্জীবন প্রকল্প ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। তবে আর্থিক সঙ্কটে জর্জরিত বিএসএনএল গাড়ি-সহ বিভিন্ন খাতে খরচ কমানোর পথে হাঁটার পরিকল্পনা করেছে আগেই। সংস্থার উদ্বৃত্ত জমি বেচে আয়ের প্রস্তাবও সায় পেয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার। ক্যালকাটা টেলিফোন্সের সিজিএম বিশ্বজিৎ পাল জানিয়েছেন, তাঁদের পরিষেবা এলাকার মধ্যে মানিকতলা, মধ্যমগ্রাম ও দমদমের কাছে সাতগাছিতে পড়ে থাকা ফাঁকা জমি চিহ্নিত হয়েছে। রাজ্যের বাকি এলাকার দায়িত্বে থাকা ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কলের জিএম (সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং) পি সি প্রামাণিকের দাবি, ব্রেসব্রিজের কাছে গোপালপুরে একটি উদ্বৃত্ত জমি আছে তাঁদের তালিকাতেও।
সংস্থা সূত্রের খবর, সারা দেশে প্রায় ৪৬টি উদ্বৃত্ত জমিকে প্রাথমিক ভাবে চিহ্নিত করেছে বিএসএনএল। যেগুলি বেচে বিকল্প আয়ের পথ খোলা রাখতে চাইছে তারা।
মোবাইলের দাপটে ল্যান্ডলাইন পরিষেবায় আধিপত্য কমেছে সংস্থাটির। ফলে নামমাত্র কিছু সংযোগ চালু থাকায় বহু ছোট এক্সচেঞ্জই আর লাভজনক নেই। তাই সেগুলি বন্ধ করে অন্য বড় এক্সচেঞ্জে পরিষেবা স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসএনএল।
বিশ্বজিৎবাবু জানান, কলকাতায় ছ’টি এক্সচেঞ্জকে তাঁরা বন্ধ করেছেন। আর প্রামাণিকের দাবি, রাজ্যের বাকি অংশে প্রথম পর্যায়ে এমন ২৩৮টি ছোট এক্সচেঞ্জ চিহ্নিত হয়েছে। যার প্রায় ১২০টি ইতিমধ্যেই বন্ধ করে সেগুলির সংযোগ অন্য এক্সচেঞ্জের সঙ্গে জোড়া হয়েছে। কর্তাদের দাবি, নানা পদক্ষেপে ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কলে খরচ কমেছে প্রায় ২৫%। তবে ক্যালকাটা টেলিফোন্স জানিয়েছে, হিসেব চলছে।