ফাইল চিত্র।
সবেমাত্র মঙ্গলবার শেষ হয়েছে স্বেচ্ছাবসর (ভিআরএস) প্রকল্পে নাম লেখানোর পালা। তার পরের দিনই কর্মীদের অক্টোবরের বেতন মঞ্জুর করলেন বিএসএনএল কর্তৃপক্ষ। সংস্থার কর্মী-আধিকারিকদের সংগঠন, এইউএবি-র অভিযোগ, ভিআরএস চলাকালীন বেতন আটকে রাখার কারণ আসলে সকলকে আতঙ্কে রাখার চেষ্টা। যাতে ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগে অনেকেই স্বেচ্ছাবসরের কথা ভাবতে বাধ্য হন।
বেতন অবশ্য বাকি পড়েছিল দু’মাসের। অক্টোবর ও নভেম্বরের। সংস্থার সদর দফতর অক্টোবরের বেতন মঞ্জুর করলেও, এখনও বাকি নভেম্বরের। কবে দেওয়া হবে তা জানানো হয়নি। অনিয়মিত বেতনের প্রতিবাদ জানিয়ে বুধবার সারা দেশে বিএসএনএলের সব দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন কর্মীরা।
বিবৃতিতে এইউএবি-র অভিযোগ, কর্মী সংগঠন দীর্ঘ দিন ধরে বকেয়া বেতনের দাবি জানালেও এত দিন তা কানে তোলেনি সংস্থা। অথচ ভিআরএসের আর্জি পর্ব শেষ হতেই আচমকা অক্টোবরের বেতন দিয়েছে। তাদের দাবি, এর থেকে প্রমাণ হয় এই রাষ্ট্রায়ত্ত টেলি সংস্থাটির শীর্ষকর্তারা কার্যত অনৈতিক শ্রম বিধিতে মদত দিচ্ছেন। সংগঠনের তোপ, ‘‘স্বেচ্ছাবসর নেওয়ার জন্য কর্মীদের চাপ দিতেই বেতন আটকে রাখা হয়েছিল। কর্তৃপক্ষ হয়তো নিজেদের পক্ষে নানা যুক্তি দেবেন। তবে সত্যিটা বেরিয়ে পড়েছে ও কর্মীরা তাঁদের কৌশল ধরে ফেলেছেন।’’
এ দিকে, জুনে সংস্থা পুনরুজ্জীবন পরিকল্পনার জন্য আইআইএম আমদাবাদ ও উপদেষ্টা সংস্থা ডেলয়েটকে নিয়োগের কথা জানায় কেন্দ্র। ক্যালকাটা টেলিফোন্সের সিজিএম বিশ্বজিৎ পাল জানান, ডেলয়েটের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। সূত্রের খবর, ভিআরএসের পরে সব সার্কল থেকে সংস্থা পরিচালনার পরিকাঠামো সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করছে ডেলয়েট। তার পরে ছকা হবে ভবিষ্যৎ কৌশল। ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কলের সিজিএম আর শর্মা জানিয়েছেন, আজ, বৃহস্পতিবার ডেলয়েটের সঙ্গে তাঁদের বৈঠক।
ভিআরএস ছাড়া বিএসএনএল পুনরুজ্জীবন পরিকল্পনায় কী পদক্ষেপ করা হবে তা নিয়ে অস্পষ্টতার অভিযোগ তুলেছে সংশ্লিষ্ট মহল। বুধবার টেলিকমমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের আশ্বাস, কেন্দ্র বিএসএনএল এবং এমটিএনএলকে লাভজনক করে তুলবে। তাঁর কথায়, ‘‘এই দুই সংস্থা মিশলে উন্নত পরিষেবা মিলবে।’’