ফাইল চিত্র।
বিএসএনএলের ৪জি পরিষেবা আনতে রাষ্ট্রায়ত্ত গবেষণা সংস্থা ‘সি ডট’-এর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে দেশীয় প্রযুক্তি গড়েছে টাটা গোষ্ঠীর দুই সংস্থা, টিসিএস এবং তেজস। পরীক্ষামূলক ব্যবহারের জন্য যন্ত্র কেনার বরাতও দিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থাটি। সূত্রের খবর, এ বার রাজ্যে সংযোগ চালুর প্রস্তুতি শুরু হল পুরোদমে। এখানে মোবাইলের পরিকাঠামো এবং ৪জি-র যন্ত্র বসাতে কী কী জরুরি, তা খতিয়ে দেখতে সম্প্রতি বিএসএনএলের ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কল ও ক্যালকাটা টেলিফোন্সের (ক্যালটেল) সঙ্গে বৈঠক করেছে টিসিএসের প্রতিনিধি দল।
সংস্থা সূত্রের দাবি, রাজ্যের দুই সার্কলের থেকেই মোবাইল পরিষেবা সংক্রান্ত কিছু তথ্য চেয়েছেন টিসিএসের প্রতিনিধিরা। কোথায় কত অপটিক্যাল ফাইবার রয়েছে, বিদ্যুৎ পরিকাঠামো কেমন, নতুন যন্ত্র কোথায় বসবে, বসাতে আর কী কী লাগবে— সেই সব নিয়ে আলোচনা হয়। বিএসএনএলের কর্মী-অফিসারদের এক দফা প্রশিক্ষণও দেন তাঁরা।
প্রতিদ্বন্দ্বী বেসরকারি টেলিকম সংস্থাগুলি যখন ৫জি পরিষেবা চালুর পথে, তখন বিএসএনএল ৪জি-ই আনতে পারেনি। চিনের সঙ্গে সীমান্ত উত্তেজনা চলার সময় ৪জি-র যন্ত্র কেনার দরপত্র প্রক্রিয়া বাতিল করে কেন্দ্র জানিয়েছিল, দেশীয় প্রযুক্তিতে ওই পরিষেবা দেবে তারা। অবশেষে সেই প্রযুক্তি তৈরির পরে এখন পরিষেবা পরীক্ষার পালা। সম্প্রতি বিএসএনএলের সিএমডি পি কে পুরওয়ার জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১৫ অগস্ট তাঁদের ৪জি চালু করতে আগ্রহী। এপ্রিলে ৬০০০টি বিটিএসের (টাওয়ার, অ্যান্টেনা-সহ সার্বিক পরিকাঠামো) যন্ত্র পরীক্ষামূলক ব্যবহারের জন্য কেনার বরাত দেয় সংস্থার সদর দফতর। আপাতত যার ৩০০টি পাবে রাজ্য সার্কল।
সূত্র জানাচ্ছে, রাজ্যে ৪জি পরিষেবার প্রধান পরিকাঠামো থাকবে সল্টলেকের দফতরে, অন্যটি দুর্গাপুরে। ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কল পরীক্ষার জন্য যে ৩০০টি বিটিএসের যন্ত্র পাবে তা প্রাথমিক ভাবে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বীরভূম এবং (ক্যালটেলের এলাকা বাদে) উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলির কিছু জায়গায় বসানো হবে। সব ঠিকঠাক চললে এর মাস দেড়েকের মধ্যে চালু পরীক্ষামূলক পরিষেবা চালু করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। ক্যালটেল ক’টি বিটিএসের যন্ত্র পাবে, তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে ৫জি-প্রস্তুতি শুরু করেছে তারাও।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।