শহরে ওয়াই-ফাই পরিষেবা দিতে তৈরি হচ্ছে বিএসএনএল

নেট পরিষেবার বাজারে পিছলে যাওয়া জমি ফেরত পেতে এ বার বিভিন্ন শহরে ওয়াই-ফাই অঞ্চল তৈরিকে হাতিয়ার করছে বিএসএনএল। রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম পরিষেবা সংস্থাটির এই পরিকল্পনায় শরিক কলকাতাও। সংস্থা সূত্রে খবর, ওয়াই-ফাই ‘হটস্পট’ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এই শহরে প্রাথমিক ভাবে ২০০টি জায়গাকে চিহ্নিত করেছে তারা।

Advertisement

দেবপ্রিয় সেনগুপ্ত

শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০১৫ ০১:০৭
Share:

নেট পরিষেবার বাজারে পিছলে যাওয়া জমি ফেরত পেতে এ বার বিভিন্ন শহরে ওয়াই-ফাই অঞ্চল তৈরিকে হাতিয়ার করছে বিএসএনএল।

Advertisement

রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম পরিষেবা সংস্থাটির এই পরিকল্পনায় শরিক কলকাতাও। সংস্থা সূত্রে খবর, ওয়াই-ফাই ‘হটস্পট’ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এই শহরে প্রাথমিক ভাবে ২০০টি জায়গাকে চিহ্নিত করেছে তারা। এর মধ্যে বিমানবন্দর, রেল স্টেশন যেমন রয়েছে, তেমনই আছে শপিং মল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও। সব কিছু ঠিকঠাক চললে, চলতি বছরেই এই পরিষেবা চালু হওয়ার কথা।

কলকাতা ও তার কিছু সংলগ্ন এলাকায় বিএসএনএলের টেলি ও নেট পরিষেবা দেয় ক্যালকাটা টেলিফোন্স। তাদের সূত্রে খবর, ওয়াই-ফাই পরিষেবা দিতে নীতিগত সায় মিলেছে। প্রথমে এই পরিষেবা শুরু করা হবে খাস কলকাতায়। পরে তা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে।

Advertisement

ক্যালকাটা টেলিফোন্সের জিএম (বিক্রি ও বিপণন) অসীম কুমার সিংহ বলেন, ‘‘প্রকল্পের সম্ভাবনা-সমীক্ষা চলছে। আগামী সপ্তাহেই তা শেষ হওয়ার কথা। তারপর রিপোর্ট পাঠানো হবে দিল্লিতে। সেখানে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত মিললেই পুরোদমে কাজ শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে।’’ উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিএসএনএল জানিয়েছে, আগামী দু’তিন বছরে সারা দেশে ওয়াই-ফাই হটস্পট তৈরির জন্য ৭,০০০ কোটি টাকা ঢালবে তারা।

অনেকেরই প্রশ্ন, যে-সংস্থার ব্রডব্যান্ডের শামুক গতি নিয়ে বিস্তর অভিযোগ, পরিষেবা নিয়ে নানা ক্ষোভ গ্রাহকদের, তার ওয়াই-ফাই পরিষেবার উপর কতটা আস্থা রাখবেন সকলে? বিশেষত যেখানে এক বার (২০০৫ সালে) চালু করেও, তা তেমন সাফল্যের মুখ দেখেনি?

সংস্থার দাবি, এখন তাদের পরিকাঠামো অনেক ভাল। প্রযুক্তিও উন্নততর। ফলে এই পরিষেবা গ্রাহকদের মধ্যে সাড়া ফেলবে বলে তাদের আশা। সংস্থা সূত্রে আরও দাবি, ওয়াই-ফাই পরিষেবা দেওয়া হবে মূলত অপটিক্যাল ফাইবার কেব্‌লের মাধ্যমে। ফলে ডেটা প্যাকের তুলনায় সেই নেটের গতি হবে বেশি। ফলে ওই সুবিধা নিতে অনেকেই আগ্রহ দেখাবেন বলে মনে করছে তারা।

প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে মারকাটারি প্রতিযোগিতায় এঁটে উঠতে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি কতটা মরিয়া, তা তাদের আটঘাট বাঁধা পরিকল্পনা থেকে কিছুটা স্পষ্ট। ক্যালকাটা টেলিফোন্স সূত্রে খবর, হটস্পট তৈরির পরে সেখান দিয়ে যাওয়ার সময়ে বিএসএনএলের থ্রিজি ডেটাপ্যাকের কোনও গ্রাহক যদি ওয়াই-ফাই পরিষেবা ব্যবহারে আগ্রহী হন, তবে তিনি তা করতে পারবেন সরাসরি। নতুন করে নথিভুক্তির (অথেন্টিকেশন ইত্যাদি) ঝামেলা এড়িয়ে।

আর যাঁরা বিএসএনএলের গ্রাহক নন, নেট ব্যবহারের টাকা দেওয়ার রাস্তা সহজ করার চেষ্টা হচ্ছে তাঁদের জন্যও। তবে দু’ক্ষেত্রেই মাসুল কেমন হবে, সে বিষয়ে কথা চলছে। এমনকী কোনও অঞ্চলকে হটস্পট করাতে কেউ সংস্থাকে প্রস্তাব দিতে চাইলেও কথা বলার দরজা খোলা রাখছে বিএসএনএল।

এ ছাড়া, ব্রডব্যান্ডের বাজার ফিরে পেতেও কোমর বেঁধেছে সংস্থা। তারা জানিয়েছে, ২০১৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত যাঁরা বিএসএনএলের কাছ থেকে ওই পরিষেবা ছেড়ে গিয়েছেন, তাঁরা ফিরে এলে শর্তসাপেক্ষে ছাড়ের সুযোগ পাবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement