স্বেচ্ছাবসরের পথেই কি আর্থিক সঙ্কটে জর্জরিত বিএসএনএল?

অনেকের মতে, জল্পনা আরও বাড়ছে কারণ, বিএসএনএল পুনরুজ্জীবন প্রকল্পের অঙ্গ হিসেবে আগেই কেন্দ্রীয় টেলিকম দফতরকে স্বেচ্ছাবসরের প্রস্তাব দিয়েছে।

Advertisement

দেবপ্রিয় সেনগুপ্ত

শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০১৯ ০৩:৪৭
Share:

প্রতীকী ছবি

বছর খানেক ধরেই আর্থিক সঙ্কটে জর্জরিত বিএসএনএলের পুনরুজ্জীবন নিয়ে চর্চা চলছে। কিন্তু এখনও কোনও সিদ্ধান্ত না হওয়ায় ধোঁয়াশা বাড়ছে সংস্থার ভবিষ্যৎ ঘিরে। তার উপরে কানাঘুষো খবর, খরচ কমানোর জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থাটিতে নাকি কর্মীদের স্বেচ্ছাবসর প্রকল্প (ভিআরএস) আনা হবে। এই পরিস্থিতিতে সংস্থার সিএমডি দেশের সব সার্কেলকে ৫০ বছর ও তার বেশি বয়সের কর্মী ও আধিকারিকদের চাকরির নথি (সার্ভিস বুক) সম্পূর্ণ করে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। আর তার পরেই সংশ্লিষ্ট মহলে উঠেছে প্রশ্ন, তা হলে কি স্বেচ্ছাবসরের প্রস্তাব দেওয়ার পথেই হাঁটবে বিএসএনএল? সেই জন্যই দ্রুত ওই নথি প্রস্তুতির কাজ সেরে রাখতে চাইছে তারা!

Advertisement

অনেকের মতে, জল্পনা আরও বাড়ছে কারণ, বিএসএনএল পুনরুজ্জীবন প্রকল্পের অঙ্গ হিসেবে আগেই কেন্দ্রীয় টেলিকম দফতরকে স্বেচ্ছাবসরের প্রস্তাব দিয়েছে।

সম্প্রতি সিএমডি পি কে পুরওয়ার প্রতিটি সার্কলের চিফ জেনারেল ম্যানেজারকে (সিজিএম) ওই কর্মীদের সার্ভিস বুকে সাম্প্রতিক সমস্ত তথ্য ঢোকানোর নির্দেশ পাঠিয়েছেন। সেই সঙ্গে পাঠিয়েছেন একটি তালিকাও। যেখানে জানানো হয়েছে আগামী ১ জানুয়ারি প্রতিটি সার্কলে কত জন ৫০ থেকে ৫৫ এবং ৫৫ থেকে ৬০ বছর বয়সের কর্মী ও আধিকারিক থাকবেন। সেই অনুযায়ী, নতুন বছরের প্রথম দিনে সংস্থায় ৫০ বছর ও তার বেশি বয়সের কর্মী-আধিকারিকের সংখ্যা দাঁড়াবে ১ লক্ষ ৬ হাজার ৩০৪ জন। এখন যা প্রায় ১.৬৫ লক্ষ।

Advertisement

সম্প্রতি বিভিন্ন ইউনিয়নের যৌথ মঞ্চকে পুরওয়ার বলেছিলেন, সপ্তাহ খানেকের মধ্যে বিএসএনএল পুনরুজ্জীবন নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে কেন্দ্র। আগামী ২৩ অক্টোবর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিষয়টি উঠতে পারে বলে ইঙ্গিত সংশ্লিষ্ট মহলের। একাংশের আশঙ্কা, সেখানে থাকতে পারে স্বেচ্ছাবসরের প্রস্তাবও। যদিও একটি সূত্রের দাবি, অবসরপ্রাপ্তদের পাওনা-গণ্ডা নিয়ে যাতে সমস্যা না হয়, সে জন্য সব সময়েই চাকরির নথি তৈরি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।

ক্যালকাটা টেলিফোন্সের সিজিএম বিশ্বজিৎ পাল জানান, নির্দেশ মেনে কাজ চলছে। অল ইন্ডিয়া বিএসএনএল এগ্‌জ়িকিউটিভ’স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শুভাশিস মিত্রের দাবি, ওই কর্মীদের ভিজিল্যান্স রিপোর্ট তৈরির নির্দেশও এসেছে। অভ্যন্তরীণ নজরদারির ভিত্তিতে দুর্নীতি সংক্রান্ত যা তৈরি করে সংস্থা। তাঁদের মতে, নানা নেতিবাচক খবরের প্রভাব পড়ছে সংস্থার ব্যবসায়। তাই কেন্দ্র দ্রুত নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ঘোষণা করুক।

সূত্রের খবর, গত জুলাইয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিগোষ্ঠী বিএসএনএলের পুনরুজ্জীবন প্রকল্পের খসড়ায় সায় দেয়। যদিও অর্থ মন্ত্রক বিষয়টি নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছে। বিএসএনএলের পুনরুজ্জীবন সম্ভব কি না, হলে কোন পথে, তা উচ্চ পর্যায়ের কমিটির কাছে জানতে চেয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতরও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement