প্রতিযোগীরা যখন বাজার ধরতে আমজনতার দরজায় পৌঁছে গিয়েছে, বিএসএনএল তখন অপেক্ষা করেছে ক্রেতারা কখন আসবেন তাদের কাছে। বেসরকারি সংস্থাগুলির সঙ্গে ব্যবসায় পিছিয়ে পড়ে অবশেষে নড়েচড়ে বসেছে তারা। প্রতি শুক্রবার এরিয়া অফিসের কর্মী ও আধিকারিকদের সম্ভাব্য গ্রাহকের কাছে যেতে নির্দেশ দিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলি সংস্থাটি।
পরিষেবার প্রচারে ইতিমধ্যেই কর্মীদের রাস্তায় নামিয়েছে বিএসএনএল। ফুটপাথের অস্থায়ী শিবির থেকে সিম বিক্রি করে সাড়াও মিলেছে। টানা ছুটির মাঝে খোলা রাখা হয়েছে গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্র। এ বার আরও এক ধাপ এগিয়ে সম্ভাব্য গ্রাহকদের দরজায় পৌঁছতে চাইছে সংস্থা। প্রতি শুক্রবার কর্মী ও আধিকারিকদের বিভিন্ন আবাসন ও ব্যবসায়িক সংস্থার অফিসে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
সংস্থাটির কলকাতা শাখার সিজিএম এস পি ত্রিপাঠী জানান, অগস্টের প্রথম শুক্রবার থেকে পরিকল্পনা কার্যকর হয়েছে। আপাতত কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের ২০০টি আবাসন চিহ্নিত করে সেখানে যাচ্ছেন তাঁরা। চলছে মোবাইল, ল্যান্ডলাইন, ব্রডব্যান্ড পরিষেবার প্রচার। জোর দেওয়া হচ্ছে বকেয়া আদায়ে। ভবিষ্যতে অন্যান্য জেলাতেও একই পদক্ষেপ করা হবে।
এর আগে
• রাস্তায় মোবাইলের সিম বিক্রি।
• ছুটিতে খোলা পরিষেবা কেন্দ্র।
এ বার
• কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় আবাসন, অফিসে হাজিরা।
• মোবাইল, ল্যান্ডলাইন, ব্রডব্যান্ড পরিষেবার প্রচার। দ্রুত বকেয়া আদায়।
• ভবিষ্যতে বিভিন্ন জেলায় একই পদক্ষেপের ভাবনা।
বিএসএনএল সূত্রের খবর, সংস্থার আলাদা বিপণন বিভাগ থাকলেও প্রতিযোগিতায় টক্কর দিতে তা যথেষ্ট নয়। তাই ক্যালকাটা টেলিফোন্সের ১৫টি এরিয়া অফিসের প্রশাসনিক দফতরের কর্মী ও আধিকারিকদেরও নতুন পরিকল্পনায় সাময়িক ভাবে যুক্ত করার ভাবনা রয়েছে তাদের।
সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, বিএসএনএল নতুন নতুন পরিষেবা চালু করলেও পরিকল্পনার অভাবে অধিকাংশ মানুষের কাছেই সেই তথ্য পৌঁছয়নি। প্রতিযোগিতার ধাক্কায় সেই পরিষেবা সংক্রান্ত তথ্য পৌঁছে দিতে এ বার গ্রাহকের দরজার পৌঁছনোর পদক্ষেপ করতে হল তাদের।