ছবি: সংগৃহীত।
বিএসএনএলের ঘুরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন মিলেছিল প্রায় দেড় বছর আগে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তা পুরোপুরি কার্যকর না-হওয়ায় রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থাটির ম্যানেজমেন্টের দিকেই আঙুল তুলল কর্মী ইউনিয়ন। বিএসএনএলের সিএমডি পি কে পুরওয়ারকে লেখা এক চিঠিতে তাদের অভিযোগ, ত্রাণ প্রকল্পের সুবিধা পেলেও, ২০২০ সালে সময়ে বেতন দিতে পারেনি সংস্থা। অন্যেরা যখন ৫জি আনার কথা ভাবছে, সেখানে এখনও পর্যন্ত চালু করতে পারেনি ৪জি-ই। যদিও বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি বিএসএনএল।
সংগঠনের তোপ, ঘুরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনার অঙ্গ হিসেবে স্বেচ্ছাবসর কার্যকর করে এই খাতে ৫০% টাকা সাশ্রয় হয়েছে। বাজার থেকে ৮৫০০ কোটি টাকা তুলতে সরকারি গ্যারান্টি মিলেছে। বিনামূল্যে ৪জি স্পেকট্রামও দেওয়ার কথা জানিয়েছে কেন্দ্র। অথচ তা-ও হিসেবের খাতার উন্নতি হয়নি। পাশাপাশি, সুযোগ কাজে লাগিয়ে আট মাস আগেই ৪জি চালু করা যেত, কিন্তু কর্তৃপক্ষের দোষেই তা হয়নি। এ দিকে উন্নত পরিষেবা দিতে ব্যর্থ হয়ে ক্রমাগত গ্রাহক হারাচ্ছে তারা।
তার উপরে মাসে ১৫০০ কোটি টাকা যেখানে সংস্থার আয়, সেখানে ৪৫০ কোটি কর্মীদের বেতনে যাওয়ার কথা। কিন্তু সেটাও গত বছরে সময়ে দেওয়া হয়নি বলে চিঠিতে দাবি ইউনিয়নের। সেই সঙ্গে ঠিক কর্মীদের সরানোর যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে সংগঠন। তাদের অভিযোগ, এর ফলে লক্ষ লক্ষ ব্রডব্যান্ড ও লাইন মেরামতি সম্ভব হচ্ছে না। প্রসঙ্গত, সময় বেঁধে লাইন মেরামতি-সহ বিভিন্ন কাজের জন্য ঠিকাদার নিয়োগের পদ্ধতি ঢেলে সাজছে বিএসএনএল। যা নিয়ে বহু দিন ধরেই তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ঠিকাকর্মীরা।