দশ বছর আগেও দেশের টেলি পরিষেবা ব্যবসার শীর্ষে ছিল বিএসএনএল। কিন্তু পরিকাঠামোর অভাবে ক্রমশ পিছিয়ে পড়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি। শুক্রবার কলকাতায় এক অনুষ্ঠানের ফাঁকে সে কথা স্বীকার করে সংস্থার সিএমডি অনুপম শ্রীবাস্তব বলেন, এ বার সেই ভুল শোধরাতে উদ্যোগী হয়েছেন তাঁরা।
সেই লক্ষ্যে দু’বছরে ৬,০০০ কোটি টাকা খরচে সারা দেশে ৪০ হাজার নতুন বেস ট্রান্সিভার স্টেশন (বিটিএস) বসাবে সংস্থা। চালু করা হবে ৪.৫ জি প্রযুক্তির ১ লক্ষ ওয়াইফাই হট-স্পট। ৪জি পরিষেবার জন্য স্পেকট্রাম কিনতে কেন্দ্রের কাছে প্রস্তাবও পাঠাচ্ছে বিএসএনএল।
এ দিন পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের সঙ্গে জোট বেঁধে গ্রাহকদের নগদহীন কেনাবেচার সুযোগ দিতে ‘স্পিড পে’ মোবাইল ওয়ালেট চালু করেছে সংস্থাটি। সেখানে টেলিকম প্রতিমন্ত্রী মনোজ সিংহের দাবি, নতুন সংস্থা (অর্থাৎ জিও) আসায় অন্যদের বাজার দখল কমলেও, বিএসএনএলের তা হয়নি। পরে শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘২০০৬ সাল পর্যন্ত আমরাই প্রথমে ছিলাম। কিন্তু তারপর যখন বাজার বাড়ছে, সব বেসরকারি সংস্থা দৌড়ে এগোচ্ছে, আমরা পিছনেই থেকে গিয়েছি। যন্ত্রপাতি কেনা হয়নি। ২০১২ পর্যন্ত এই অবস্থা চলে। ওই সময়ে নতুন যন্ত্র কিনতে সফল হই ও ফের প্রতিযোগিতায় এগোতে শুরু করি।’’