কলকাতা সার্কেলের পরে এ বার পশ্চিমবঙ্গ।
গ্রাহক টেনে পায়ের তলায় মাটি ফেরত পেতে এ বার বাকি রাজ্যেও ‘মানিকজোড়’ প্রকল্পের উপর বাজি ধরছে বিএসএনএল।
মোবাইল পরিষেবার ব্যবসায় ক্যালকাটা টেলিফোন্সের মতোই দশা বিএসএনএলের পশ্চিমবঙ্গ সার্কেলের। তার উপর যে ল্যান্ডলাইন তাদের ব্যবসার মূল স্তম্ভ, খুব একটা স্বস্তি নেই সেখানেও। তাই সেই পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে ‘মানিকজোড়’কে হাতিয়ার করতে চায় তারা।
পশ্চিমবঙ্গ সার্কেলের জেনারেল ম্যানেজার (বিপণন) অসীম কুমার সিন্হা জানান, ল্যান্ডলাইনের নতুন গ্রাহকদের পাশাপাশি পুরনোরাও নতুন একটি ‘মানিকজোড়’ মোবাইল সিমের (পোস্ট পেড) জন্য আবেদন করতে পারবেন। তিন মাস এই সুবিধা মিলবে। মোবাইলের মাসিক ভাড়া ৭০ টাকা। সেটি থেকে সংশ্লিষ্ট ল্যান্ডলাইনে নিখরচায় (রোমিং ছাড়া) ফোন করা যাবে। এ ছাড়াও মিলবে মাসে ১৫ টাকার বাড়তি ‘টক ভ্যালু’ এবং বিনামূল্যে ১০০ এমবি ‘ডেটা’ ব্যবহারের সুযোগ। তবে এই ইন্টারনেট পরিষেবা পাওয়া যাবে শুধু পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম ও আন্দামানে।
কিন্তু যেখানে বিএসএনএলের পরিষেবা নিয়েই গ্রাহকদের মধ্যে বিস্তর অভিযোগ, সেখানে আদৌ কতটা সাফল্য পাবে এই প্রকল্প?
রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটির দাবি, তাদের পরিষেবার মান এখন উন্নত। তা ছাড়া, বিভিন্ন জেলার বহু পড়ুয়া বা চাকরিজীবী ক্যালকাটা টেলিফোন্সের এলাকায় থাকেন বা নিয়মিত যাতায়াত করেন। ফলে এই সুবিধা পেলে, নিখরচায় বাড়ির ল্যান্ডলাইনে ফোন করার সুযোগ পাবেন তাঁরা। আগ্রহী হবেন প্রকল্পটির হাত ধরতে।
অসীমবাবু আরও জানান, উৎসবের মরসুমে পশ্চিমবঙ্গ সার্কেলে ১৯, ২০ ও ২৬ অক্টোবর ৮৯০ টাকা টপ-আপ কার্ড ভরালে, হাজার টাকার টক ভ্যালুও মিলবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর, বিএসএনএলের পশ্চিমবঙ্গ সার্কেলে ল্যান্ডলাইন গ্রাহকের সংখ্যা পরিষেবার সমস্যা ও কেব্ল কাটা পড়ার কারণে কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে সংস্থার মোবাইল গ্রাহকের সংখ্যাও। সংস্থার অবশ্য দাবি, যে সব গ্রাহকের ফোন চালু রয়েছে, জুলাই থেকে অগস্টে তাঁদের সংখ্যা বেড়েছে সাড়ে সাত হাজারেরও বেশি। সেপ্টেম্বরে তা আরও প্রায় ১২ হাজার বেড়েছে।
এখন বাজারে কব্জা বাড়াতে মানিকজোড়ে ভরসা রাখছে তারা।