— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
সামান্য হলেও নামল সেনসেক্স। তবে তার আগে এই প্রথম ছুঁয়ে এল ৮৫ হাজারের মাইলফলক। লেনদেন চলাকালীন ৮৫,১৬৩.২৩ অঙ্কে পৌঁছে সর্বকালীন উচ্চতার নজিরও গড়ল। শেষে সোমবারের থেকে ১৪.৫৭ পয়েন্ট পড়ে মঙ্গলবার দিন শেষ করল ৮৪,৯১৪.০৪ অঙ্কে। তবে নিফ্টি দু’টি রেকর্ড করেছে। এক, দিনের মধ্যে এই প্রথম ২৬ হাজারের গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছে। দুই, দিনের শেষে মাত্র ১.৩৫ উঠলেও প্রথম বার বন্ধ হয়েছে ২৫,৯৪০.৪০-এ।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, গত তিন দিনের লাগাতার নজির গড়া দৌড় থেমেছে মূলত লগ্নিকারীদের হাতের শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা ঘরে তোলার তাগিদে। সকালবেলার দিকে সেনসেক্স ৮৫ হাজার এবং নিফ্টি ২৬ হাজার পেরোতেই, সেই হিড়িক পড়ে। তবে সূচকগুলির এই দুই গণ্ডি পাকাপাকি ভাবে পেরিয়ে যাওয়াও স্রেফ সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করছে বাজার মহল। কারণ, আমেরিকা সুদের হার কমাতে শুরু করায় বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি ভারতে শেয়ার কিনছে। আর আগামী মাসের গোড়ায় দেশে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কও সুদ কমাবে, এই প্রত্যাশায় দেশের লগ্নিকারীরা উৎসাহিত। একাংশের অবশ্য দাবি, লাভ তোলার জেরে এ দিন শেয়ার বাজার ছিল অস্থির। ফলে এক সময় সেনসেক্সকে প্রায় ৮৪,৭১৬ অঙ্কে নামতেও দেখা গিয়েছে।
বিশেষজ্ঞ কমল পারেখ বলেন, ‘‘সেনসেক্স সামান্য পড়লেও, তাতে কিছু যায়-আসে না। অচিরেই কয়েক গুণ চড়বে। বড় কোনও অঘটন না ঘটলে এখন বাজারে তেমন বড় পতনের আশঙ্কা নেই। তবে ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি। কারণ, ভাল হোক বা মন্দ, সব শেয়ারের দামই বাড়ছে। তাই বিশেষ করে সাধারণ বা ক্ষুদ্র লগ্নিকারীদের উচিত শেয়ার কেনার জন্য সংস্থা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সতর্ক হয়ে এগোনো।’’