—প্রতীকী চিত্র।
টানা ৮ দিন ওঠার পরে শুক্রবার মাথা নামাল শেয়ার বাজার। সেনসেক্স ৫০৫.১৯ পয়েন্ট পড়ে দাঁড়াল ৬৫,২৮০.৪৫ অঙ্কে। নিফ্টি নামল ১৯,৩৩১.৮০-তে। পতন ১৬৫.৫০।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, উঁচু বাজারে লাভের টাকা ঘরে তোলার তাগিদ বাড়ে। সপ্তাহের শেষে লগ্নিকারীদের মধ্যে তাই শেয়ার বিক্রির হিড়িক পড়েছে। ফলে নেমেছে সূচক। বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি অবশ্য ভারতের বাজারে পুঁজি ঢেলেছে এ দিনও। তার অঙ্ক ৭৯০.৪০ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবারের নিট লগ্নি ছিল ২৬৪১.০৫ কোটি।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, বিশ্ব বাজারের দুর্বল ভাব এ দিন দেশে সূচকের পতনে ইন্ধন জোগায়। আর একটি কারণ ছিল অশোধিত তেলের বাড়তে থাকা দর। তা আরও বাড়লে ভারতের মতো তেলে আমদানি নির্ভর দেশের পক্ষে ফের চিন্তার কারণ হয়ে উঠতে পারে। ঠেলে তুলতে পারে মূল্যবৃদ্ধির হারকে।
এ দিকে, সামান্য হলেও ডলারের নিরিখে টাকার দাম কমেছে। শুক্রবার এক ডলার হয়েছে ৮৩.৬১ টাকা। আর্থিক বিশেষজ্ঞ অনির্বাণ দত্ত বলেন, “অশোধিত তেলের দাম বাড়লেই, তা কেনার জন্য দেশের বিদেশি মুদ্রার ভান্ডার থেকে বেশি ডলার খরচ হয়। বিশ্বের তেল উৎপাদক এবং রফতানিকারী দেশগুলি আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দামকে ঠেলে তুলতে উৎপাদন কমানোর পথ নিচ্ছে। এটা ভারতের উদ্বেগ বাড়াতে পারে। তেলের দাম এর মধ্যেই ফের ঊর্ধ্বমূখী হয়েছে। আগামী দিনে অশোধিত তেলের দর আরও চড়বে কিনা, তা চিন্তায় রাখছে। টাকায় তেল কেনার প্রক্রিয়া সম্প্রসারিত করার উপর জোর দেওয়া জরুরি।“