ফাইল চিত্র।
আমেরিকার শীর্ষ ব্যাঙ্ক ফেডারাল রিজ়ার্ভ দু’দিনের বৈঠকে বসছে আজ। তার আগে সোমবার প্রায় ৫২৫ পড়ে গেল সেনসেক্স। নামল ৫৮,৪৯০.৯৩ অঙ্কে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, ওই বৈঠকে আমেরিকার আর্থিক পরিস্থিতির ইঙ্গিত মিলবে। সে দেশে কর্মসংস্থানের হার বাড়লে বিশ্ব অর্থনীতির মঙ্গল ঠিকই। কিন্তু জল্পনা, দেশের অবস্থা ভাল বুঝলে ত্রাণ প্রকল্পে রাশ টানা শুরু করতে পারে ফেড রিজ়ার্ভ। অর্থাৎ বন্ড কেনা কমাবে তারা। ফলে সেখানে
নগদের জোগান কমবে। আর সেই নগদের যে অংশ ভারতের মতো সম্ভাবনাময় অর্থনীতির বাজারে ঢুকত, সেটাও আগের মতো থাকবে না। তার উপরে ফেড সুদ বাড়ালে ভারত থেকে লগ্নির একাংশ চলে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। সব মিলিয়ে উদ্বেগেই এতটা পড়েছে সেনসেক্স। লগ্নিকারীরা খুইয়েছেন ৩.৪৯ লক্ষ কোটি টাকার শেয়ার সম্পদ।
পতনের অন্যতম কারণ চিনও। পড়শি দেশটির বড় মাপের আবাসন সংস্থা এভারগ্রান্ড আর্থিক সমস্যায় পড়ে ঋণ খেলাপি হয়েছে। এই সমস্যা চিনের, এমনকি বিশ্বের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা। বিভিন্ন দেশের শেয়ার সূচকেই তাই এ দিন উদ্বেগের লক্ষণ ছিল স্পষ্ট।
তবে পতনকে স্বাগত জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। দেকো সিকিউরিটিজ়ের ডিরেক্টর আশিস নন্দী বলেন, ‘‘বাজারকে তেজী করছিল যে বিষয়গুলি তার প্রভাব ফিকে হচ্ছে। যেমন, টিকাকরণের গতি এক সময়ে সূচককে তাতিয়ে তুলত। সেই কাজ প্রায় ৬০% সারা। অর্থনীতি চাঙ্গা হতে শুরু করায় আর ত্রাণ প্রকল্পও আসবে না হয়তো। আমেরিকার অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ালে বহু লগ্নি ফিরবে সেখানে। ফলে সূচক আরও পড়তে পারে।’’
ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন ডিরেক্টর বিনয় আগরওয়ালের অবশ্য ধারণা, ‘‘একে তো ভারতের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। তার উপরে মিউচুয়াল ফান্ডগুলি শেয়ারে বিপুল লগ্নি করছে। বাজার দ্রুত উঠবে।’’